মোদি জমানায় ১০ বড় হামলা

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পুলওয়ামাতে হামলার পরের দিন ঘটনাস্থল
২০১৪-২০১৯ সাল পযর্ন্ত মোদি জমানার এই পঁাচ বছরে তীব্র হয়েছে জঙ্গি দমন অভিযান। কিন্তু এর সঙ্গেই তীব্রতর হয়েছে জঙ্গি নাশকতাও। জঙ্গি হামলায় বার বার রক্তাক্ত হয়েছে পাকিস্তান সীমান্ত-সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন অংশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব হামলার টাগের্ট করা হয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনীকে। প্রাণ গেছে অনেক বেসামরিক সাধারণ মানুষেরও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানায় এ ধরনের ১০টি বড় হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ জন পুলিশকমীর্ ও জওয়ান। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ ২০ মাচর্, ২০১৫ : জম্মুর কাঠুয়া জেলার রাজবাগ থানায় আত্মঘাতী হামলায় তিন নিরাপত্তাকমীর্সহ ছয়জন নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গিও নিহত হয়। ২৭ জুলাই, ২০১৫ : তিন বছর আগে সেদিনের ভোরে পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার দীনানগর বড়সড় নাশকতা চালায় জঙ্গিরা। প্রথম টাগের্ট করা হয় একটি যাত্রীবোঝাই বাস, এরপর গুরদাসপুর থানায় চলে গুলিবৃষ্টি। গোটা ঘটনায় চার পুলিশকমীর্ প্রাণ হারায়, নিহত হয় তিন সাধারণ মানুষও। অবশ্য, পাল্টা হামলায় তিন জঙ্গিও নিহত হয়। পরে অমৃতসর পাঠানকোটের রেলব্রিজ থেকে পঁাচটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ২ জানুয়ারি, ২০১৬ : পাঠানকোট খাস পশ্চিম এয়ারকমান্ডের সদর দপ্তর ফিদায়েঁ হামলা। সেনাবাহিনীর পোশাকে নাশকতা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। হামলায় নিহত হয় সাত নিরাপত্তাকমীর্, খতম হয় চার জঙ্গি। ২৪ জুন, ২০১৬ : ঘটনাস্থল জম্মুর পাম্পোর। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গিরা। এতে নিহত হয় আট জওয়ান। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা আঘাতে দুই জঙ্গিও নিহত হয়। এরই মধ্যে ৬ জুলাই জঙ্গি দমন অভিযানে হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানি নিহত হন। উপত্যকায় অশান্তির আগুনে ঘি পড়ে। বুরহানের মৃত্যুর বদলা নেয়ার ডাক দেয় জঙ্গি সংগঠনগুলো। ঠিক এর দুই মাসের মধ্যেই উরিতে সেনা সদরদপ্তরে (হেডকোয়াটার্র) আঘাত হানে জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : এদিন ভোরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ১৯ সেনার নিহত হয়েছিল। সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চার জঙ্গিরও মৃত্যু হয়। ৩ অক্টোবর, ২০১৬ : ফের টাগের্ট করা হয় সেনাঘঁাটি। সেবার হামলা হয় বারামুলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছাউনিতে। এতে প্রাণ হারায় তিন জওয়ান। দুই হামলাকারীও নিহত হয় সেদিন। এর ঠিক তিন দিনের মধ্যে ফের সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলা হয়। ৬ অক্টোবর, ২০১৬ : কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারায় সেনা ক্যাম্পে হামলা চলে। সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত তিন জঙ্গির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ২৯ নভেম্বর, ২০১৬ : জম্মুর নাগরোটায় পুলিশের পোশাক পরে তিন জঙ্গি সেনাবাহিনীর ১৬৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট ইউনিটের ওপর হামলা চালায়। এতে ১০ সেনার মৃত্যু হয়। হামলার দায় নেয় জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। ১১ জুলাই, ২০১৭ : এবারও লস্কর জঙ্গিদের টাগের্ট ছিল সিআরপিএফ এবং পুলিশ। তবে অনন্তনাগে সেই হামলার বলি হয় সাধারণ মানুষ। জঙ্গিদের গুলিতে ঝঁাঝরা হয়ে যায় অমরনাথের যাত্রীবোঝাই বাস। প্রাণ যায় আটজনের। ১৪ ফেব্রæয়ারি, ২০১৯: শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে হয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। এদিন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারায় অন্তত ৪৬ জন জওয়ান। আহত হয় অন্তত ৪৫ জন। এই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পকের্র আরও অবনতি হয়েছে।