সিরিয়ায় খিলাফতের শেষটুকু রক্ষায় মরিয়া আইএস

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সিরিয়ায় তাদের কথিত খিলাফতের অবশিষ্টাংশ রক্ষায় এখন মরিয়া। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় ধরা পড়া আইএসের ইউরোপীয় জঙ্গিদের ফিরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বানের পর ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স সিরিয়ায় আইএসের দখলে থাকা এলাকার পরিমাণ কমতে কমতে এখন একেবারেই সংকুচিত হয়ে এসেছে। ইরাক সীমান্তবর্তী সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় তাদের শেষ দুর্গ রয়েছে। এলাকাটি থেকে বেসামরিক লোকদের পালাতে বাধা দিচ্ছে আইএস। উলেস্নখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ডিসেম্বরে তার মিত্রদের অবাক করে হঠাৎ সিরিয়ায় থাকা দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) যোদ্ধাদের সহায়তা করে আসছিল মার্কিন সেনারা। এসডিএফ গত রোববার জানায়, গ্রামের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আইএস যোদ্ধারা সাধারণ লোকজনকে পালাতে বাধা দিচ্ছে। এসডিএফের এক যোদ্ধা গণমাধ্যমকে বলেন, আইএসের জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য যে তরঙ্গ ব্যবহার করত, তা শেষ হয়ে গেছে। এখন তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা সত্যিই সংকুচিত হয়ে এসেছে। তাদের কাছে যথেষ্ট ওয়াকিটকি নেই। তারা এখন একে অপরের সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগও করে না। এসডিএফের মুখপাত্র মুস্তফা বালি বলেন, আইএস রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে দুই হাজারের বেশি সাধারণ মানুষের পালানোর পথে বাধা দিতে চেষ্টা করছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের এক মুখপাত্র সিয়ান রায়ান বলেন, যেসব মানুষ সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে, তাদের অনেকে জানিয়েছে, আইএস জঙ্গিরা নারী ও শিশুদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে। এদিকে ব্রাসেলসে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা সিরিয়া সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ইতালিসহ ইইউ দেশগুলো থেকে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের হয়ে যুদ্ধ করার অভিযোগে শত শত জঙ্গি এসডিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। নিজ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ইইউ দেশগুলোর প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীটি। তবে তারা তাতে গা করেনি। গত ডিসেম্বরে ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বিষয়টি বেশ জরুরি হয়ে পড়ে। মার্কিন সেনারা চলে গেলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক ধরনের শূন্যতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তখন জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা এসডিএফের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ট্রাম্প গত শনিবার এক বার্তায় বলেছিলেন, 'ইসলামিক স্টেটের সাম্রাজ্য পতনের মুখে। এখন ইউরোপীয় যোদ্ধাদের বিচারের জন্য প্রত্যাবাসন করা না হলে তারা ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। এটি ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। ট্রাম্প আরও বলেন, 'এসব ইউরোপীয় জঙ্গি ছাড়া পেয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ুক, যুক্তরাষ্ট্র তা চায় না। আমরা অনেক করেছি। ব্যয়ও হয়েছে অনেক। এখন সময় অন্যদের এগিয়ে আসার।'