ঘৃণাকে বদলে দিন সম্প্রীতিতে আর উন্নয়ন দিয়ে ধ্বংস

সিউল শান্তি পুরস্কার অনুষ্ঠানে মোদি

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সিউল শান্তি পুরস্কার নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি -পিটিআই
২০১৮ সালের 'সিউল শান্তি পুরস্কার' পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং বিশ্বের অর্থনীতির উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য শুক্রবার মোদির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এই পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদি বলেছেন, ঘৃণাকে বদলে দিতে হবে সম্প্রীতিতে, আর উন্নয়ন দিয়ে ধ্বংসকে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে পৌঁছান মোদি। ২০১৫ সালের পর দেশটিতে এটিই তার দ্বিতীয় সফর। পুরস্কারের আয়োজন করেছে 'সিউল পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন'। পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত মোদি বলেন, সিউল শান্তি পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত। তবে এই পুরস্কার ব্যক্তিগতভাবে আমার নয়, এটি গোটা ভারতবাসীর। গত পাঁচ বছরের কম সময়ে দেশ যে সাফল্য দেখেছে, এটা তারই ফসল।' ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তীতে এ পুরস্কার পাওয়ায় তিনি আরও গর্বিত বলে জানান। এর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ডক্টরস উইদাউট বর্ডার এবং অক্সফ্যাম-এর মতো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠন। এবার এই তালিকায় নতুন সংযোজন নরেন্দ্র মোদি। ১৪তম প্রাপক হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন তিনি। এদিন মোদির হাতে শান্তি পুরস্কার তুলে দেয়ার পাশাপাশি তার জীবনের ওপর আধারিত একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। এদিন আবারও সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তোলেন মোদি। গত ১৪ ফেব্রম্নয়ারি জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত হয় অন্তত ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ান। শুধু ভারত নয়, সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে গোটা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে চোখ রাঙাচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৮৮ থেকে দ্রম্নত হারে বদলাচ্ছে বিশ্বের চিত্রপট। আগে দারিদ্র্যই ছিল বিশ্বের কাছে একটা মূল চ্যালেঞ্জ। এখন তা আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের কাছে আজকের চ্যালেঞ্জের ধরনটা অন্যরকম। এখন মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন এবং সন্ত্রাসবাদ। যেভাবে গোটা বিশ্ব থেকে দারিদ্র ধীরে ধীরে মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, ঠিক একইভাবে এবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে দিতে সব শুভবুদ্ধিসম্পন্ন দেশকে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। আর এটাই সেই উপযুক্ত সময়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিভাজন এবং দুই দেশের মধ্যে যে বৈরিতার সম্পর্ক- সেই উদাহরণও এদিন তুলে ধরেন মোদি। তিনি বলেন, কোরিয়ার মতোই বিভাজন এবং সীমান্তে টানাপড়েনের যন্ত্রণায় ভুগছে ভারত। ভারতের শান্তি বারবার বিঘ্নিত করছে সীমান্ত-সন্ত্রাস। পুরস্কার মঞ্চ থেকে তাই মোদির বার্তা, 'সম্প্রীতি দিয়ে ঘৃণাকে বদলে দিতে হবে, উন্নয়ন দিয়ে ধ্বংসকে রুখতে হবে, সন্ত্রাসের বিচরণক্ষেত্রে শান্তির বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে।