জইশ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য দোষারোপ দিলিস্নকেই

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহার
সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া পাকিস্তান আঙুল তুলছে ভারতেরই দিকেই। ইমরান খানের আমলে জইশ-ই-মোহাম্মদের বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ উঠেছে আগেই। কিন্তু কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলার বিষয়ে ইসলামাবাদের বক্তব্য হলো, ২০০২ সালে জইশ পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে তারা। বরং নিজেদের নিরাপত্তার দুর্বলতার দিকটি বিবেচনায় না নিয়ে ভারত বরাবরের মতোই পাকিস্তানের ঘাড়ে সাজানো অভিযোগ চাপিয়ে দিয়েছে। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ গত ১৪ ফেব্রম্নয়ারির হামলার পরেই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ওপর থেকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন' (এমএফএন) তকমা প্রত্যাহারের ঘোষণা করে ভারত। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা আবদুল রাজ্জাক দাউদের দাবি, এই বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এখনো সরকারিভাবে পাকিস্তানকেই জানায়নি দিলিস্ন। জইশ-যোগের অভিযোগ নিয়ে ইসলামাবাদে সরব হয়েছেন পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল। তিনি বলেন, ২০০২ থেকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ জইশ। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের যা যা করণীয়, তা করা হচ্ছে। অথচ হামলা হওয়ার একটু পরেই কোনো তদন্ত না করে পাকিস্তানের ঘাড়ে অভিযোগ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ধরনের সাজানো অভিযোগ অতীতেও তোলা হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, জাতিসংঘ যাদের জঙ্গি বলেছে, তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে থেকেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। জইশের নেতারা পাকিস্তানেই আছেন। হামলার পরেই আত্মঘাতী জইশ জঙ্গি আদিল আহমেদ দারের বক্তৃতার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু ফয়সাল ভারতের বিরুদ্ধেই উল্টো দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে বলেন, কুলভূষণ যাদবের স্বীকারোক্তির ভিডিওকে 'জাল' বলেছিল ভারত। অথচ (আদিলের) এই ভিডিওকে যাচাই না করেই সেটিকে সত্যি বলে মেনে নিল! 'এমএফএন' তকমা তোলা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা দাউদ বলেন, 'বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথাও হতে পারে। তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো মঞ্চে অভিযোগ জানানোর হুশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই ওই গোষ্ঠীর সদস্য। 'এমএফএন' তকমা প্রত্যাহারের পরেই ভারতে রপ্তানি হওয়া সব পাকিস্তানি পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দাউদ বলেন, 'আমরা বাড়াবাড়ি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাব না। একপক্ষীয়, দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় সব রাস্তাই খোলা রয়েছে।'