ট্রাম্পকে কি কুখ্যাত ফুলটন কারাগারে যেতে হবে

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের পুলিশি হেফাজতে যেতে হচ্ছে। স্থানীয় ফৌজদারি আদালতে যখন তিনি হাজিরা দিতে যাবেন, তখন তাকে কয়েক ঘণ্টা কারাগারে কাটাতে হবে। তবে তার সঙ্গী অন্য আসামিদের ভাগ্য এতটা সুপ্রসন্ন না-ও হতে পারে। জর্জিয়া কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, আদালতে হাজির হওয়ার আগে ট্রাম্প ও তার সঙ্গী অন্য ১৮ আসামিকে আটলান্টার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে কাটাতে হতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, 'পরিস্থিতির' পরিবর্তনও হতে পারে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ২৫ আগস্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। স্থানীয় শেরিফ প্যাট লাবাত বলেছেন, ট্রাম্পের মামলার প্রক্রিয়ার সময় কর্মকর্তারা 'প্রথাগত রীতি' অনুসরণ করবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলার শুনানির অপেক্ষায় ট্রাম্পকে কাউন্টির ওই কুখ্যাত কারাগারে সপ্তাহ, মাস, এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত কাটাতে হতে পারে। ফুলটন কাউন্টির এ কারাগার বেশ অনিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো আসামি গ্রেপ্তার হলে জামিন না হওয়া পর্যন্ত শুনানির জন্য তাদের কারাগারে থাকতে হয়। অথবা তাদের স্বল্প মেয়াদের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে রাখা হয়, এমন নজিরও আছে। আর দন্ডিত হলে অপরাধীকে কারাগারে দীর্ঘতর সময় থাকতে হয়। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের (এসিএলইউ) ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফুলটন কারাগারে শত শত আসামি ৯০ দিনের বেশি সময় বন্দি ছিলেন। কারণ, তখনো তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি বা তারা নিজেদের জামিনের জন্য মুচলেকা হিসেবে পর্যাপ্ত অর্থ পরিশোধ করতে পারেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কারাগারে ১১৭ আসামিকে পাওয়া গেছে, যারা এক বছরের বেশি সময় ওই কারাগারে বন্দি ছিলেন। অথচ তারা তখনো আদালতে অভিযুক্ত হননি। এছাড়া ১২ আসামি ছিলেন, যারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি। এসিএলইউর জর্জিয়া রাজ্যের কর্মকর্তা ফ্যালন ম্যাকক্লুর বলেন, নির্মাণের পর থেকে ফুলটন কারাগারে উপচেপড়া আসামি রাখা হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এ কারাগারে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। জর্জিয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কীভাবে অভিযোগ আনা হচ্ছে, সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি সরকারি কৌঁসুলিরা। তবে ইতিপূর্বে নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা ও ওয়াশিংটন ডিসিতে তার বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে প্রক্রিয়ায় কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অবশ্য ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই তিন রাজ্যের আদালতে ট্রাম্প উপস্থিত হওয়ার পর অন্যান্য আসামির মতো তার মৌলিক তথ্য ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধীর থেকে তাকে আলাদা নিরিবিলি অবস্থায় রাখা হয়েছে। আদালতে দ্রম্নত তার কাজ শেষ করা হয়েছে। এসব আদালতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও মার্কিন মার্শাল সদস্যরা তাকে ঘিরে রেখেছিলেন।