উন্মত্ত জনতার হিংস্রতা রুখতে কঠোর আইন করা হোক

পালাের্মন্টকে পরামশর্ ভারতের সুপ্রিম কোটের্র

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গো-রক্ষার নামে হোক বা হোয়াট্সঅ্যাপে ছড়ানো শিশু চুরির গুজবে গণপিটুনির প্রবণতা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের সুপ্রিম কোটর্। এ ধরনের ঘটনার মোকাবেলায় এবার পালাের্মন্টকে নতুন আইন আনার পরামশর্ দিয়েছে সুপ্রিম কোটর্। মহাত্মা গান্ধীর নাতির ছেলে তুষার গান্ধীসহ সমাজকমীের্দর দায়ের করা একটি পিটিশনের পরিপ্র্রেক্ষিতে দেশটির শীষর্ আদালত রাজ্যগুলোকে মঙ্গলবার এই বিপদ কঠোর হাতে দমনের পরামশর্ দিয়েছে। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ বিভিন্ন রাজ্যে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাÐব ও মোবাইল ফোনের গুজবে গণপিটুনির বিষয় উল্লেখ করে শীষর্ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন তুষার গান্ধী, তেহসিন পুনওয়ালাসহ বেশ কয়েকজন সমাজকমীর্। সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট বাতার্ দেয়, এ ধরনের ঘটনার আগাম প্রতিরোধ ও দমন করতে এবং শাস্তি দিতে নতুন গাইড লাইন তৈরি করুক পালাের্মন্ট। প্রয়োজনে নতুন আইন করা হোক, যেখানে কঠোর শাস্তির বিধান থাকবে এই স্বঘোষিত গো-রক্ষক বা শিশু-রক্ষকদের বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে শুধু গণপিটুনির জন্যই আলাদা আইন তৈরি করুক পালাের্মন্ট। একইভাবে আলাদা আইন আনার পরামশর্ দেয়া হয়েছে রাজ্যগুলোকেও। এই মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের আরও পযের্বক্ষণ, ‘ভয় ও অরাজকতার ক্ষেত্রে রাজ্যকে গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা নিতে হবে। হিংস্রতা বরদাস্ত করা যাবে না।’ মোবাইল ফোনে গুজবের জেরে গণপিটুনির মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা নতুন প্রবণতা হয়ে উঠুকÑ এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কঠোর হাতেই এই অপকমের্র মোকাবেলা করতে হবে।’ এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্যগুলো, সে বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোটর্ জমা দেয়ার নিদের্শও দিয়েছে দেশটির শীষর্ আদালত। উল্লেখ্য, হোয়াট্?সঅ্যাপে শিশু চুরির গুজবে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে পঁাচজনকে পিটিয়ে হত্যার পরই একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় ভারতের সুপ্রিম কোটর্ জানিয়ে দেয়, কোনো কিছু রক্ষার নামে যেকোনো ধরনের সহিংসতা বন্ধ করা দরকার। কিন্তু শীষর্ আদালতের এই নিদের্শ অধিকাংশ রাজ্য সরকারই মানছে না বলে অভিযোগ তুলে আদালত অবমাননার মামলাও দায়ের করেন ওই সমাজকমীর্রা। আগামী ২৮ আগস্ট ওই মামলার পরবতীর্ শুনানির দিন ধাযর্ করেছে সুপ্রিম কোটর্। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময় ভারতে গো-রক্ষাসহ মোবাইল ফোনে গুজব ছড়িয়ে পিটিয়ে হত্যার প্রবণতা বাড়ছে। এ নিয়ে দেশটির সমাজকমীর্রা সরব হলেও রাজনৈতিক দলগুলো রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সবোর্চ্চ আদালত এই ভ‚মিকা নিল বলে পযের্বক্ষরা মনে করছেন।