বৈরুত বিমানবন্দরের আশপাশের বাসিন্দাদের সরার নির্দেশ

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইসরাইলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেবাননের কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রধান বৈরুত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের সব স্থাপনা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা না ঘটে, সেই লক্ষ্যে শনিবার বৈরুত কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা জারি করেছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা, বিবিসি রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এর আশপাশ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও ইসরাইলের সঙ্গে সীমান্তে এই মুহূর্তে সংঘাত আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে কিনা, সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্সে' দেওয়া এক পোস্টে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইসরাইলের দিকে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার চেষ্টা করেছে লেবাননের হিজবুলস্নাহ। পরে লেবাননের ভূখন্ডে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালের দিকে লেবাননের ভূখন্ড থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি একটি ড্রোনে আঘাত হানে। এরপর ইসরাইলি বাহিনী ওই ক্ষেপণাস্ত্র যে স্থান থেকে ছোড়া হয়েছিল, সেই এলাকায় গোলাবর্ষণ করে। তিন সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিনই সীমান্তে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুলস্নাহর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ইসরাইল-লেবাননের ২০০৬ সালের রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর এবারই প্রতিবেশী এই দুই দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে হিজবুলস্নাহ জড়িয়ে পড়লে তা আঞ্চলিক সংঘাতে যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ইরানও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজা উপত্যকায় নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি হামলা ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হলে এই যুদ্ধ অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়তে পারে।