ঘূর্ণিঝড় 'ইদাই'র তান্ডবে জিম্বাবুয়েতে নিহত ৮৯

ভূমিধসের কবলে দুইটি বোর্ডিং স্কুল

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জিম্বাবুয়ের পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় 'ইদাই'য়ের তান্ডবে কমপক্ষে ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ৮৯ জনের মধ্যে দুইটি বোর্ডিং স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছে। এছাড়াও বহু লোক আহত হয়েছেন। এখনো বহু লোক নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাতে পর্বত থেকে ধসে পড়া পাথর ছাত্রাবাসের একটি দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে; শিক্ষার্থীরা তখন ঘুমিয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর পার্বত্য জেলা চিমানিমানির চার্লস লওয়ানগা সেকেন্ডারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে আটকাপড়া ২০০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে 'ডিপার্টমন্টে অব সিভিল প্রটেকশন' জানিয়েছে। আরেক ঘটনায় এক বাসচালক ছোট একটি নদী পাড়ি দেয়ার চেষ্টাকালে বন্যার তোড়ে বাসটি ভেসে যায়, এরপর থেকে তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটির মনিকাল্যান্ড প্রদেশে বিদু্যৎ সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটেছে। সেখানে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় ইদাই গত বৃহস্পতিবার সমুদ্র থেকে উঠে এসে ঘণ্টায় ১৭৭ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে মনিকাল্যান্ডের পার্শ্ববর্তী মোজাম্বিকের স্থলভাগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে মোজাম্বিকের বন্দর শহর বেইরার রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায় ও বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম শহরটির পাঁচ লাখ বাসিন্দা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী জুলি মোয়ো বলেছেন, কয়েকটি লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এখনো বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে বলে রোববার জানিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির পুরো মাত্রা স্পষ্ট হবে, তখন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উলেস্নখ্য, ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আঘাত হানার আগেই এর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মোজাম্বিক ও মালাউইতে ১২০ জনের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিল।