লোকসভা নির্বাচন-২০১৯

'মোদি-সুনামিতে' এবারই শেষ ভোট ভারতে!

বিজেপি মনে মনে সংবিধান পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখছে, মন্তব্য বিরোধী জোটের

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নরেন্দ্র মোদি
আগামী এপ্রিল-মে মাসের আসন্ন ভারতের লোকসভা ভোটে 'মোদি সুনামি' উঠলে ২০২৪ সালে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি এমপি সাক্ষী মহারাজ। উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের এই বিজেপি নেতা বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপরিচিত। কিন্তু তার এবারের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি লোকসভা ভোটে আবারও জিতে এলে বিজেপি সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবছে? সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ কংগ্রেস, সিপিএম থেকে অন্যান্য বিরোধীদলের নেতাদের যুক্তি, বিজেপি নেতারা যে মনে মনে সংবিধান পাল্টে দিয়ে হিন্দু-রাষ্ট্র তৈরির স্বপ্ন দেখেন, সাক্ষীর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট। সাক্ষী মহারাজ এক নির্বাচনী জনসভায় বলেন, 'এবার মোদি সুনামিতে দেশ জেগে উঠেছে। আমি মনে করি, ২০২৪ সালে আর কোনো ভোট হবে না। এটাই শেষ ভোট। আমরা দেশের নামে এই ভোট লড়ছি।' উন্নাওয়ের তার এই মন্তব্য শুনে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র জিশান হায়দার বলেন, সাক্ষী মহারাজ আসলে বিজেপির মনোবাঞ্ছা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সিপিএমের পলিটবু্যরো নেতা নীলোৎপল বসুর মত, বিজেপি যে হিন্দু-রাষ্ট্র বানাতে চায়, তা স্পষ্ট। কিন্তু মানুষ সেই ইচ্ছে পূরণ হতে দেবে না। সাক্ষী মহারাজের এই মন্তব্যের জেরে তাকে সামনে রেখেই বিজেপিকে নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। কিন্তু একই সঙ্গে বিভিন্ন বিরোধীদল কংগ্রেসের দিকেও প্রশ্ন তুলেছে। অন্যান্য বিরোধীদলের প্রশ্ন, এমন বিপদের মুখে দাঁড়িয়েও কংগ্রেস নেতারা নানা রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী জোট নিয়ে এমন অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন কেন? অখিলেশ সিং যাদব থেকে সীতারাম ইয়েচুরি, আগেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই প্রশ্ন তুলেছেন। একই প্রশ্ন তুললেন তেজস্বী যাদব। উত্তরপ্রদেশ, দিলিস্ন, বিহার থেকে মহারাষ্ট্র আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করতে গিয়েও কংগ্রেসের শেষবেলায় জট পাকিয়ে ফেলার সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এদিকে, বিহারে আসন নিয়ে আরজেডির সঙ্গে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কংগ্রেসের দরকষাকষি চলছে। লালুপ্রসাদ-পুত্র তেজস্বীর মন্তব্য, 'গত পাঁচ বছরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কী হয়েছে, কারও কাছে লুকোনো নেই। সংবিধান ও দেশ অভূতপূর্ব সঙ্কটে।' এরপর সাক্ষীর মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে তেজস্বীর যুক্তি, এবার বিরোধীদের কোনো ভুল হলে, ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচন হবে কিনা, তার নিশ্চয়তা নেই। নিজেদের কয়েকটি আসন বাড়ানোর জন্য শরিকদের কয়েকটি আসন কমানোর জন্য যদি কেউ অহঙ্কার না ছাড়েন, তাহলে সংবিধানে আস্থা রাখা মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না। কংগ্রেস-এনসিপি মহারাষ্ট্রে দিন্দোরির আসন না ছাড়ায় বিরক্ত সিপিএমও। অথচ নাশিকের ওই এলাকা থেকে শুরু হওয়া কৃষকদের লং মার্চের ফায়দা কংগ্রেস-এনসিপি রাজ্যের সবখানেই তুলতে চাইছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি তাই বলেছেন, কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে।