গাজায় এখন আর নিরাপদ জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চলে এখন আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। আর এই দক্ষিণ গাজাতেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে এসেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। ফলে ফিলিস্তিনিদের কাছে অঞ্চলটিতে নিরাপদ আশ্রয় বলে আর কিছু থাকছে না। সংবাদসূত্র : এএফপি, ডিডবিস্নউ নিউজ তরুণ শিল্পপতি হানা আওয়াদ বলছেন, 'আমরা এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। আমরা চাকরি হারিয়েছি, পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি, বাড়িঘর হারিয়েছি, এমনকি নিজেদের শহরও হারিয়ে ফেলেছি।' লড়াই শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই হানা তার শহর ছেড়ে চলে এসেছিলেন। উত্তর গাজার হাজার হাজার মানুষের মতো হানা ও তার পরিবার মিশর সীমান্তের কাছে রাফাহ চলে যান। সেই সময় ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, উত্তর গাজা থেকে মানুষ যেন দক্ষিণ গাজার নিরাপদ জায়গায় চলে যান। কিন্তু এখন দক্ষিণ গাজাতেও ইসরাইল সমানে বোমাবর্ষণ করছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী এখন খান ইউনিস শহর ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে। শহর থেকে মানুষকে পশ্চিম দিকে বা রাফাহর দক্ষিণে চলে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু লড়াই বন্ধ করা হচ্ছে না। ইসরাইলের দাবি, হামাস নেতারা এই শহরেই আছে। হানা জানিয়ছেন, 'রাফাহয় থাকাটাও রীতিমতো চ্যালেঞ্জের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খান ইউনিস থেকে দলে দলে মানুষ এখানে আসছেন। ফলে আগে যারা এসেছেন, তারা বিপাকে পড়েছেন। গাজার সব জায়গা থেকে রাফাহয় মানুষ আসছেন। এখানেও ইসরাইলের ড্রোনের আওয়াজ শোনা য়াচ্ছে। তাই সত্যিকারের কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।' যুদ্ধবিরতির সময় রাফাহ সীমান্ত দিয়ে কিছু মানবিক ত্রাণ এসেছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই মানুষের নূ্যনতম চাহিদাও পূরণ হচ্ছে না। জাতিসংঘের 'অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স' (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে ১৮ লাখ মানুষ এই যুদ্ধের ফলে মাথার ওপর ছাদ হারিয়েছেন। অনেকেই দক্ষিণ গাজায় চলে গেছেন। সেখানে জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে আর ঠাঁই নেই। অনেকে গাড়িতে থাকছেন, আত্মীয়দের সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকছেন। হানা জানিয়েছেন, 'খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। গদি, কম্বল কিছুই নেই। গত দুই দিন ধরে যারা আসছেন, তারা মেঝের ওপর নাইলনের শিট বিছিয়ে থাকছেন। এই ঠান্ডায় এভাবে রাত কাটানো ভয়ংকর কষ্টের।'