আতঙ্কে আছে মুসলমানরা

যুক্তরাজ্যে একরাতে পাঁচ মসজিদে হাতুড়ি হামলা, ভাঙচুর

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মসজিদে হামলা চালাচ্ছে এক দুর্বৃত্ত
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে চারটি মসজিদে হাতুড়ি হামলা হয়েছে। মসজিদে হাতুড়ি নিয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে মসজিদের জানালা, দরজা ভাঙচুর করেছে অস্ত্রধারী অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। সংবাদসূত্র : ডেইলি মেইল, রয়টার্স বুধবার গভীর রাতের এসব হামলার ঘটনায় বার্মিংহামের মুসলমান সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তারা আজকের জুমার নামাজের সময় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দেশটির পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ বলছে, রাতে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের এসব ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, রাতে উইটনের 'উইটন ইসলামিক সেন্টারে' হামলা চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে মসজিদের সাতটি জানালা ও দুটি দরজা ভাঙচুর করা হয়। মসজিদের ইমাম বলছেন, রাত দেড়টা থেকে ২টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, রাতে হামলা হতে পারে বলে তারা আগেই সতর্ক করা করেছিল। তবে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, উইটন রোডের ব্রোডওয়ে স্টেড রোডের কাছে রাত ২টা ৩২ মিনিটের দিকে একটি মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাত ৩টা ১৪ মিনিটের দিকে আর্ডিংটনের একটি মসজিদে হামলার খবর আসে পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছে টহল শুরু করে। এছাড়া উইটন রোডের অ্যাস্টন ও পেরি বারের ব্রোডওয়েতেও মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ফরেনসিক কর্মকর্তারা এসব হামলার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ ও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন। ব্রোমফর্ড অ্যান্ড হজ হিল ওয়ার্ডের লেবার দলীয় কাউন্সিলর মজিদ মাহমুদ অনলাইনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গভীর রাতে উইটন রোড ইসলামিক সেন্টার আক্রান্ত হয়েছে। এই সেন্টারের জানালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্ত। আরও বলেন, 'আমি গত সপ্তাহে বলেছি, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিমরা আতঙ্কিত। আমাদের সহায়তা দরকার।' তার কথার সুর শোনা গেল উইটন ইসলামিক সেন্টারের ইমাম শারাফাত আলির কণ্ঠেও। ৬৬ বছর বয়সী এই ইমাম বলেন, এটা অত্যন্ত ভয়াবহ। মুসলমান সম্প্রদায় আতঙ্কের মধ্যে আছে। ?শারাফাত আলি বলেন, 'আমরা এখানে ৩০ বছর ধরে বাস করছি। প্রত্যেকদিন সকালে অন্তত ৪০ জন মুসলিস্ন এখানে নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার এই সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।' তিনি আরও বলেন, 'আজ জুমার নামাজ। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, কেন এসব ঘটছে। আমাদের আরও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। বার্মিংহামের লেডিউডের লেবার দলীয় এমপি শাবানা মাহমুদ বলেন, 'বার্মিংহামজুড়ে মসজিদে হামলার যে খবর আসছে, তা সত্যিই ভয়ানক।'