গাজা ইসু্য

নিরাপত্তা পরিষদের ভোট টানা তৃতীয় দিনের মতো স্থগিত

প্রস্তাবে জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা কার্যকর করার অনুরোধ করা হয়েছে

প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোট টানা তৃতীয় দিনের মতো স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোটাভুটি স্থগিত করা হয়। টানা তিন দিন এই ভোটাভুটি বিলম্বিত হওয়ার পর এখন বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য এই খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোট হওয়ার কথা। গত সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর প্রথম দফায় ভোটাভুটি স্থগিত করা হয়। সংবাদসূত্র : আনাদলু নিউজ, রয়টার্স সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'গাজায় তাৎক্ষণিকভাবে সব হামলা বন্ধ করতে হবে, বন্দিদের বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে এবং গাজার সাধারণ মানুষের কাছে বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।' আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংঘাতের সব পক্ষকে অবশ্যই তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলার কথা উলেস্নখ করে এই প্রস্তাবে জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা দ্রম্নত কার্যকর করারও অনুরোধ করা হয়েছে। গত সোমবার এই প্রস্তাবের ওপর ভোট প্রথমবার স্থগিত করা হয়। আমেরিকা যেন নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো না দেয়, সেজন্য নিরাপত্তা পরিষদের অন্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা সেদিন মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আর মঙ্গলবারও দ্বিতীয়বারের মতো এই ভোটাভুটি স্থগিত করা হয়। বুধবার ভোট হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মূলত আমেরিকা এখনো এই খসড়া রেজু্যলিউশনের বিষয়ে আশ্বস্ত হতে পারেনি। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হয়। কিন্তু সেটিতে সঙ্গে সঙ্গে ভেটো দেয় আমেরিকা। এতে ইসরাইল খুশি হলেও বিশ্বের অন্য দেশগুলো মার্কিনিদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আমেরিকার সেই ভেটোর পর গাজায় বর্বরতা আরও বৃদ্ধি করে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলো যুদ্ধবিরতির পক্ষে সরব হওয়ার পর আমেরিকার অবস্থানে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছেন, হামাসকে 'নির্মূল' না করা পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। কিন্তু রাশিয়া এবং আরব লিগ মরক্কোয় রাশিয়ান-আরব সহযোগিতা ফোরাম থেকে যুদ্ধ বন্ধে ইসরাইলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। উলেস্নখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে টানা আড়াই মাস ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি এই আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজারের বেশি মানুষ।