প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ইসরাইলে ছুটছেন ভারতীয়রা
প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শীতের কাপড় পড়ে শত শত পুরুষ সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছেন। তারা সবাই জড়ো হয়েছেন ইসরাইলে কর্মী পাঠানোর জন্য একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে। একই অবস্থা দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশেও। গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষের আক্রমণেরও শিকার হচ্ছে ইসরাইল। এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসরাইলে ছুটছে ভারতীয়রা। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি
ইসরাইলে ১০ হাজার নির্মাণ শ্রমিক লাগবে, সেজন্য রাজ্য সরকার উত্তরপ্রদেশের একটি কলেজে নির্দিষ্ট কাজটির জন্য দক্ষতা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। 'মুখ্যমন্ত্রী মিশন কর্মসংস্থান' প্রকল্পের অধীন ইসরাইলে ভারতীয় কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এই দক্ষতা পরীক্ষার আয়োজন করে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি চেয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ইসরাইলি নির্মাণ সংস্থাগুলো। অনুমোদনের পর হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সরকার ইসরাইলে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার পদের বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
হরিয়ানার বিজ্ঞপ্তির শ্রমিকদের মধ্যে তিন হাজার কাঠমিস্ত্রি ও লোহা শ্রমিক, দুই হাজার মেঝে টাইলস ফিটার এবং দুই হাজার পস্নাস্টার শ্রমিক চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, শ্রমিকদের বেতন হবে প্রায় এক হাজার ৬২৫ ডলার।
একই ভাবে উত্তরপ্রদেশেও আরও ১০ হাজার কর্মীর জন্য একই রকম বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। চলতি মাসের শুরুতে কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিতে ভারতে এসেছিলেন ইসরাইলের সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারীরা। লক্ষৌয়ে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ভারত থেকে শ্রমিক নিতে ইসরাইল আট মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। বর্তমান যুদ্ধকেই ইসরাইলে ভারতীয় শ্রমিক চাওয়ার কারণ হিসেবে উলেস্নখ করা হচ্ছে। গত বছরের মে মাসে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির অধীন ৪২ হাজার ভারতীয় নির্মাণ শ্রমিককে কাজের জন্য স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেওয়া হয়।
রাজধানী দিলিস্ন থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে জড়ো হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে একজন রাজমিস্ত্রি লেখারাম বলেন, 'এখানে বেকারত্ব আছে এবং এ কারণেই মানুষ চলে যেতে চাইছে। আমাদের ভাগ্যে যদি মৃতু্য লেখা থাকে তবে, আমরা ভারতে বা অন্য কোনো জায়গাতেও মরতে পারি।'