ইরানের বিপস্নবী গার্ডকে সন্ত্রাসী তালিকায় নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইরানের রেভুলিউশনারি গার্ড বাহিনী বা বিপস্নবী গার্ড বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের 'বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের' তালিকায় ঢোকাতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিন মার্কিন কর্মকর্তা। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম কোনো দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'সন্ত্রাসী গোষ্ঠী' হিসেবে অ্যাখ্যা দিতে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারের মধ্যেই ওয়াশিংটন ইরানের এ বিপস্নবী গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) 'সন্ত্রাসী' ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে ধারণা ওই কর্মকর্তাদের। সংবাদসূত্র : রয়টার্স গত বছর তেহরানের ওপর আগের সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হওয়ার পর থেকেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছিল। মার্কিন প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা তথ্য দিলেও পেন্টাগন এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ ধরনের যে কোনো প্রশ্ন পররাষ্ট্র মন্ত্রণলায়কে করতেও পরামর্শ দিয়েছে তারা। আইআরজিসিকে ওয়াশিংটনের 'সন্ত্রাসী তালিকায়' ঢোকাতে যাওয়ার খবর প্রথম জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইরানের ওই এলিট বাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও সম্পদকে 'কালো তালিকাভুক্ত' করলেও বাহিনী হিসেবে আইআরজিসি এ সবের মধ্যে ছিল না। ২০০৭ সালে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বাহিনীটির বিদেশে কর্মরত শাখা 'কুদস বাহিনীকে' কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। এই কুদস ফোর্সের মাধ্যমেই ইরান সিরিয়া, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে তার প্রভাববলয় বাড়াচ্ছে এবং 'সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছে' বলেও অভিযোগ ছিল তাদের। তেহরান বলেছে, তাদের বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র 'সন্ত্রাসী তালিকায়' নিলে এর 'কড়া প্রতিক্রিয়া' দেখানো হবে। তেমনটা হলে ইরানও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' অ্যাখ্যা দিতে পারে বলে টুইটারে মন্তব্য করেছেন ইরানি পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রধান হাসমতউলস্নাহ ফালাহাতপিশেহ। আইআরজিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা এ ধরনের ঘোষণার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আইআরজিসির কমান্ডার মোহাম্মদ আলি জাফরি বলেছিলেন, 'ট্রাম্প যদি এ ধরনের কিছু নিয়ে এগিয়ে যান, তাহলে রেভুলিউশনারি গার্ড মার্কিন সেনাদের বিশ্বজুড়ে ইসলামিক স্টেটের মতোই বিবেচনা করবে।' ইরাকে মার্কিন সেনা থাকা অবস্থায় ইরানি রেভুলিউশনারি গার্ডকে 'সন্ত্রাসী' ঘোষণার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরাও। এলিট এ বাহিনী ইরানের 'ব্যালিস্টিক' ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচিরও দায়িত্বে। তেহরান এর আগে তাদের কাছে দুই হাজার কিলোমিটার পালস্না দূরে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র আছে বলে দাবি করেছিল। ইরান থেকে ওই দূরত্বের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইসরাইলি বাহিনীর অবস্থান।