ব্রেক্সিট নিয়ে সংকট

নতুন গণভোট চান বেশিরভাগ ব্রিটিশ নাগরিক : জরিপ

নতুন গণভোটকে সমর্থন জানিয়েছে ৫২ শতাংশ আর ২৪ শতাংশের বিরোধিতা

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নতুন গণভোটের দাবিতে লন্ডনে মিছিল
ব্রেক্সিট প্রশ্নে নতুন গণভোট আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলে তাতে সমর্থন রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রিটিশ নাগরিকের। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম 'দ্য ইনডিপেনডেন্ট' পরিচালিত এক জনমত জরিপের ফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন গণভোটকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রায় ৫২ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রেক্সিট অচলাবস্থা নিরসনে নতুন গণভোটের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হলেও ইনডিপেনডেন্টের জরিপে দেখা গেছে, এই ইসু্যতে যুক্তরাজ্য এখন সবচেয়ে বেশি বিভক্ত। সংবাদসূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট এপ্রিলের শুরুতে দেড় হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে জরিপ চালায় সংবাদ মাধ্যমটি। তাদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কি মনে করেন আলোচনার ফল যাই আসুক না কেন, চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হোক বা না হোক, ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ জনগণের চূড়ান্ত ভোট দেয়া উচিত? দেখা গেছে, প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ নতুন গণভোটকে সমর্থন দিয়েছেন। ২৯ শতাংশ জোরালোভাবে, ২৩ শতাংশ খানিকটা সমর্থন দেন। কেবল মাত্র ২৪ শতাংশ নতুন গণভোটের বিরোধিতা করেছেন। বাকি ২৪ শতাংশের উত্তর ছিল 'জানি না'। নতুন গণভোট আয়োজনে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন থাকলেও ওই জরিপের ফলেই গণভোটের প্রশ্ন নিয়ে জটিলতা উন্মোচিত হয়েছে। জরিপের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন গণভোটের প্রশ্ন কী হবে? এছাড়া এর মধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে জনমত জানতে চাওয়া হয়েছিল। জরিপে দেখা গেছে, থেরেসা মে'র চুক্তিসহ ব্রেক্সিট নাকি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট? গণভোটে এ প্রশ্নটি রাখার ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছেন ২৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়া ইইউতে থেকে যাওয়া হবে নাকি থেরেসা মে'র চুক্তিসহ ব্রেক্সিট হবে- এ প্রশ্নটিকে ৩২ শতাংশ এবং চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নাকি ইইউতে থেকে যাওয়া হবে এ প্রশ্নটিকে ২৬ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছে। গণভোটে কোন প্রশ্নটি করা হবে, সে ব্যাপারে ১৬ শতাংশ মানুষ 'জানি না' উত্তর দিয়েছেন। জরিপে দেখা গেছে, গণভোটে কী প্রশ্ন করা হবে, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যবাসীর স্পষ্ট কোনো পছন্দ নেই। অনেকেই চান চুক্তিহীন ব্রেক্সিট, কেউ চান ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যেতে, আবার কেউ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র প্রস্তাবকেই সমর্থন করেন। বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন ব্রেক্সিট চুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না, যদি এতে যুক্তরাজ্যকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে না দেয়া হয় এবং ইউরোপিয়ান আদালতে রায় কার্যকর থেকে নিষ্কৃতি না পায়। ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের রায় অনুযায়ী, এ চুক্তিটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস করানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তিন দফায় তা নিম্নকক্ষ 'হাউস অব কমন্সে' পাস করাতে ব্যর্থ হন। প্রধানমন্ত্রীর চুক্তির বিকল্প নির্ধারণেও ব্যর্থ হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।