তুতসি গণহত্যার ২৫ বছর

আলোক প্রজ্বালনে আট লাখ নিহতকে স্মরণ রুয়ান্ডার

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গণহত্যায় নিহত কয়েকজনের ছবি
২৫ বছর আগে গণহত্যায় নিহত আট লাখ মানুষকে রোববার স্মরণ করেছে রুয়ান্ডা। নিহতদের স্মরণে ১০০ দিনের শোক পালন করছে আফ্রিকার এই দেশটি। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে রুয়ন্ডায় আট লাখ মানুষ হত্যা করেছিল হুতু চরমপন্থিরা। তাদের শিকার ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সংখ্যালঘু তুতসি সম্প্রদায়ের মানুষ। সংবাদসূত্র : বিবিসি ১৯৯৪ সালে তুতসি বিদ্রোহীদের নেতৃত্বদানকারী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট পল কাগামে রোববার রাজধানী কিগালিতে স্মৃতিসৌধে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে স্মরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে একাধিক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নিয়েছেন। তবে এদের অধিকাংশই আফ্রিকার। সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক বেলজিয়ামের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল। রুয়ান্ডার বাসিন্দাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই হুতু, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তুতসিরা দেশটির শাসন ক্ষমতায় ছিল। ১৯৫৯ সালে তুতসি রাজতন্ত্র উচ্ছেদ করে হুতুরা। এরপর ১৯৫৯ সালে প্রথমবারের মতো হুতু ও তুতসিদের মধ্যে দাঙ্গা বাধে। তখন হাজার হাজার তুতসি প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যায়, তার মধ্যে রয়েছে উগান্ডাও। এরপর নির্বাসিত তুতসির একটি দল 'রোয়ান্ডান প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট' (আরপিএফ) নামে বিদ্রোহী বাহিনী গঠন করে। ১৯৯৪ সালের ৮ এপ্রিল রাতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানা এবং বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট সাইপ্রিয়েন নতারিয়ামিনাকে বহনকারী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এতে বিমানে থাকা সবাই নিহত হন। এরা দুজনই ছিলেন হুতু সম্প্রদায়ের। ওই ঘটনার জন্য আরপিএফকে দায়ী করে হুতুরা। এরপরই সরকারের সহযোগিতায় তুতসিদের গণহত্যায় নামে হুতুরা। মাত্র ১০০ দিনে হত্যা করা হয় আট লাখ তুতসিকে। শেষ পর্যন্ত আরপিএফ উগান্ডার সেনাবাহিনীর সহায়তায় রুয়ান্ডার বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয়। এরপরই অবসান ঘটে ওই গণহত্যার। ওই গণহত্যার জন্য পরোক্ষভাবে ফ্রান্সকে দায়ী করা হয়। রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তৎকালীন ফরাসি সরকার গণহত্যাকারীদের মদদ দিয়েছিল। এমনকি তারা হুতু মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। ফ্রান্স অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।