প্রতারণা মামলা

সম্পদ জব্দ হওয়ার ঝুঁকিতে ট্রাম্প

আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (মাঝে)
নিউইয়র্কে একটি প্রতারণা মামলার রায়ে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ট্রাম্প এই পরিমাণ নগদ অর্থ বা সমমানের বন্ড দিতে অপারগ বলে জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এই রিপাবলিকান নেতা। উলেস্নখ্য, এই মামলায় ট্রাম্পের বড় দুই ছেলেকেও কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুণতে হবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি জালিয়াতির এই মামলায় ট্রাম্পকে জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তিন বছরের জন্য নিউইয়র্কে ব্যবসা পরিচালনা করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারক আর্থার এনগোরন। তুলনামূলক বেশি ঋণ সুবিধা পেতে সাবেক প্রেসিডেন্ট কারসাজি করে সম্পদ বাড়িয়ে দেখিয়েছেন, এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর বিচারক এ আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই ট্রাম্পকে জরিমানার অর্থ নগদে অথবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া বন্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই পরিমাণ অর্থের সমতুল্য বন্ড দিতে আগ্রহী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাচ্ছেন না সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এত বড় আকারের বন্ড জোগাড় করা 'প্রায় অসম্ভব'। তিনি আরও বলেন, বন্ডিং কোম্পানিগুলো আগে কখনও এই আকারের বন্ডের কথা শোনেনি। ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে আলোচনা চালিয়েছে। কিন্তু ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধে কেউ রাজি হয়নি'। আইনজীবীরা আরও জানান, তারা মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেও সফল হননি। ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতে পেশ করা এক আবেদনে জানান, তার একটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বৃহৎ বীমা কোম্পানির সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দর কষাকষি করেছেন। কিন্তু এই পরিমাণ বন্ড দিতে খুব কম কোম্পানিই বিবেচনা করবে। ট্রাম্প যদি আপিলে হেরে যান এবং নিজে যদি ওই অর্থ পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে বন্ডদাতা কোম্পানিকে তা শোধ করতে হবে। তাই কোনো বন্ড দিতে রাজি হয়নি। ট্রাম্প সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছে। এদিকে, ট্রাম্প জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আগামী সোমবার থেকেই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ তার সম্পদ জব্দের কাজ শুরু করতে পারে। 'ফাস্ট ডিপার্টমেন্ট অব দি অ্যাপিলেট ডিভিশন' নামক আদালত যদি সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত করতে রাজি হয়, তাহলেই এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। জালিয়াতি করে ঋণদাতার কাছে নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগে গত ফেব্রম্নয়ারিতে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করেন। সঙ্গে রয়েছে সুদ। এতে সব মিলিয়ে তাকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা গুণতে হবে।