পশ্চিমবঙ্গে জনসভায় অমিত শাহ

মুসলমান অভিবাসীদের ছুড়ে ফেলা হবে বঙ্গোপসাগরে

প্রকাশ | ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ
ভারতের মুসলমান অভিবাসীদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রধান অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে এক সমাবেশে এমন হুশিয়ারি দেন তিনি। বিজেপিপ্রধান বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে উইপোকার মতো। বিজেপি সরকার তাদের এক এক করে তুলে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে। শুক্রবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স অমিত শাহ তার বক্তব্যে অবৈধ মুসলিম অভিবাসী বলতে তাদের 'বাংলাদেশি' হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেও মুসলমান অভিবাসীদের উইপোকা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন অমিত শাহ। সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছিল। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে তার ওই বিদ্বেষমূলক বক্তব্য তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পাড়ি দেয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মাবলম্বীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণারও পুনরাবৃত্তি করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। একইসঙ্গে ভারতের সংবিধান থেকে জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ারও অঙ্গীকার করেন তিনি। ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় ঝা বলেন, অমিত শাহের বক্তব্য ছিল ভোটারদের সাম্প্রদায়িকভাবে বিভক্ত করার প্রয়াস। বিজেপির রাজনৈতিক মডেল হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানো, এটিকে উত্তপ্ত করে রাখা এবং ভারতকে স্থায়ীভাবে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করে রাখা। কথিত অবৈধ অভিবাসীদের দেশছাড়া করতে অমিত শাহের হুমকি অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে দলীয় এক সমাবেশে তিনি বলেন, ভারতে থাকা 'অবৈধ বাংলাদেশিদের' শনাক্ত করে তাদের এক এক করে তাড়িয়ে দেয়া হবে। একই বছরের আগস্টে কলকাতায় বিজেপির এক সমাবেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই ভারতে নাগরিক তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। অমিত শাহ বলেন, নাগরিক তালিকা (এনআরসি) হচ্ছে বেছে বেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া। মমতার বিরোধিতায় এটি বন্ধ হবে না। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাংকে পরিণত হয়েছে।