ভারতে লোকসভা নির্বাচন

বিজেপি সংগঠিত, এলোমেলো কংগ্রেসসহ বিরোধীরা

কংগ্রেস সাহস করে বলতে পারেনি তাদের টার্গেট কত আসনে

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেখানে নিজেদের জন্য ৩৭০ আসন জেতার টার্গেট দিচ্ছে, সেখানে ৩৭০ আসনে লড়াই করার মতো জায়গাতেও নেই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিজেপিকে হটানোর স্বার্থে জোট সঙ্গীদের জন্য জায়গা ছাড়তে অপ্রত্যাশিত এই রেকর্ড গড়েছে রাহুল গান্ধীদের দল। তথ্যসূত্র : পিটিআই, ইনডিয়ান টাইমস লোকসভায় বিজেপির টার্গেট ৪০০। কংগ্রেসের কত? ৫০, ১০০, ২০০ নাকি তারও বেশি? 'হাত শিবিরের' (কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীক হাত) কোনো নেতা এখনো নিজেদের টার্গেট বলতে পারেননি। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে দলের সভাপতি মলিস্নকার্জুন খাড়্‌গে, কেউই সাহস করে বলেননি কংগ্রেস লোকসভায় কত আসন পাবে। এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কংগ্রেস নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে। একই হাল সিপিএমেরও। তারাও পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ২৩৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এখনো পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিলিস্ন, হিমাচল প্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এর বাইরে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা বাকি কংগ্রেসের। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা আরও ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে হবে। এখনো সেটা চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে, এবারই ইতিহাসের সবচেয়ে কম সংখ্যক আসনে লড়বে কংগ্রেস। ১৯৫১ সালে কংগ্রেস লড়েছিল ৪৭৯ আসনে। ১৯৫৭ সালে প্রার্থী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯০। ১৯৬২ সালে হাত শিবির লড়ে ৪৮৮ আসনে। এরপর আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভার সংখ্যা বাড়ানো হলে ১৯৬৭ সালে ৫১৬ আসনে লড়াই করে হাত শিবির। ১৯৭১ সালে ইন্দিরার কংগ্রেস লড়েছিল ৪৪১ আসনে, ১৯৭৭ সালে ৪৯২ আসনে ভোটে লড়ে হাত শিবির। ১৯৮০ সালে হাত শিবির লড়ে ৪৯২ আসনে। ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ পর পর তিন নির্বাচনে হাত শিবির লড়েছিল পাঁচ শতাধিক আসনে। ১৯৯৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা চারশ'র বেশি আসনে লড়েছে কংগ্রেস। এর মধ্যে সবচেয়ে কম আসনে হাত শিবির লড়েছিল ২০১৯ সালে। কিন্তু সেবারও হাত শিবির প্রার্থী দিয়েছিল ৪২১ আসনে। এ বছর সম্ভবত সেই সংখ্যাটার থেকেও প্রায় ১০০ আসন কমে লড়বে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল। একই হাল সিপিএমেরও। সীতারাম ইয়েচুরিরাও পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম আসনে লড়ছেন এবার। দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছেন, এবার পুরো ভারতে সিপিএম লড়বে গোটা পঞ্চাশেক আসনে। লোকসভা ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। এই কক্ষের প্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষভাবে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হন। লোকসভার মেয়াদ পাঁচ বছরের। পাঁচ বছর পরপর এই পার্লামেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিলুপ্ত হয়। তবে জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে এর মেয়াদ আরও একবছর বাড়ানো যায়। লোকসভার আসন ৫৪৫টি। এর মধ্যে ৫৪৩ জন নির্বাচিত এবং দু'জন মনোনীত।