সাবেক আমলাদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রেপ্তার অভিযান

সুদানে গণজাগরণ

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সুদানে বিক্ষোভরত সাধারণ জনগণ
সুদানের অন্তর্বর্তী সামরিক পরিষদ সদ্য ক্ষমতাচু্যত ওমর আল বশির সরকারের সাবেক কয়েকজন আমলাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাকিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত হয়েছে। তিন দশক ধরে দেশ শাসন করা ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের একদিন পরই বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের তোড়ে জেনারেল আওয়াদ ইবনে অউফের পদত্যাগের পরও দেশটিতে উত্তেজনা কমেনি। বেসামরিক নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য দেশটির জনগন লাগাতার বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স এদিকে, সামরিক পরিষদের মুখপাত্র পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করার জন্য বিরোধীদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাদের পছন্দ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক পরিষদের মুখপাত্র মেজর জেনারেল শামস আদদিন শান্তা জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলো যে বেসামরিক সরকারের বিষয়ে সম্মত হবে তাদের কাছেই 'সমর্পণের' জন্য প্রস্তুত সামরিক পরিষদ। বিরোধীদল ও প্রতিবাদকারী দলগুলোর কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'আমরা কোনো প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবো না। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তারাই ঠিক করবে।' সেনাবাহিনী অবস্থান ধর্মঘটরত বিক্ষোভকারীদের সরাতে বল প্রয়োগ করবে না বলেও প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন তিনি, কিন্তু অননুমোদিতভাবে রাস্তা বন্ধ করে না রেখে 'স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে' বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 'অস্ত্র তুলে নেয়া সহ্য করা হবে না' বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, সামরিক কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেলরহমান বুরহান এখন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। তার রেকর্ড ও ইমেজ দুটোই ভালো। তিনি বিক্ষোভকারীদের মতামত জানার জন্য তাদের সঙ্গে কথাও বলছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৭৫ বছর বয়সী বশিরকে গ্রেপ্তারের খবরে সড়কজুড়ে উলস্নাস শুরু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সামরিক পরিষদের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণায় ওই আনন্দ মিইয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা পরে সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরের বাইরে অবস্থানের কর্মসূচি দেয়। সুদানের প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশনের সারা আবদেলআজিজ বলেন, 'এটা আগের শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই আমাদের প্রয়োজন লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো।' রাষ্ট্র-পরিচালিত গণমাধ্যম পরে এক ঘোষণায় সুদানজুড়ে স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারির কথা জানায়। এরপরও খার্তুমের রাস্তা ছাড়েনি আন্দোলনকারীরা।