লোকসভা নির্বাচন-২০১৯

দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে আরও সতর্ক ভারতের ইসি

বিপুল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা রুখতে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে টহলরত বিএসএফ -এপি
ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে কেন্দ্রগুলোতে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে দেশটির নির্বাচন কমিশনকে। তাই দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে আরো সচেতন থাকতে চাইছে তারা। দ্বিতীয় দফার ভোটে কমিশনের জন্য লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না, বরঞ্চ কঠিন হবে। একথা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দিল কমিশন। ভোট নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক বরদাস্ত করা হবে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে তারা। সংবাদসূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, এনডিটিভি এদিকে, প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গের স্পর্শকাতর আসন ছিল ৩০ শতাংশ। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট মোটের উপর ছিল শান্তিপূর্ণ। সোমবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ভোটপ্রস্তুতি নিয়ে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার দপ্তরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে কমিশন। খাতা কলমে রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনকে 'শান্তিপূর্ণ' আখ্যা দিলেও ভোটের দিন আরো তৎপর থাকলে 'বিক্ষিপ্ত অশান্তি' এড়ানো যেত বলে মনে করছে কমিশনের বেঞ্চ। দ্বিতীয় পর্বে তেমনটা হলে চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। সিইও দপ্তর ও রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন আইজি বিএসএফ, এডিজি আর্মড ফোর্স ও সমস্ত পর্যবেক্ষক। কমিশন সূত্রের খবর, ১৮ এপ্রিল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ আসনের নিরাপত্তায় আরও ৬০ কোম্পানি বাহিনী আসছে পশ্চিমবঙ্গে। সব মিলিয়ে ১৯৪ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে দ্বিতীয় দফার নিরাপত্তায়। যার মধ্যে রয়েছে আধাসেনা ও ভিন রাজ্যের পুলিশ। এই তিন আসনের ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে কমিশন। কারণ দ্বিতীয় দফায় শুধু দার্জিলিং আসনেই রয়েছে ৮০ শতাংশ অতিস্পর্শকাতর বুথ। মূলত পাহাড়ের তিন বিধানসভা দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ে মোট ৮৭৪টি বুথের মধ্যে ৬৭৪টি বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। সেকারণে এবার দার্জিলিং পাহাড়ের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। শুধু পাহাড়ের নিরাপত্তায় মোট ৫৫ কোম্পানি আধাসেনা ব্যবহার করা হবে বলে খবর। দার্জিলিং আসনের সমতলের বুথগুলির মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ স্পর্শকাতর। এ ছাড়া রায়গঞ্জ ও জলপাইগুড়িতে ৪০ শতাংশ আসন স্পর্শকাতর। এদিকে, রামনবমী নিয়ে বিশেষ কোনও মাথাব্যথা না থাকলেও অস্ত্রমিছিল নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কমিশন। গত দু'দিন ধরে রামনবমী পালন হয় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে। একাধিক জায়গায় প্রার্থীদেরও দেখা যায় অস্ত্র হাতে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো ধর্মীয় প্রচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না প্রার্থী। তা সত্ত্বেও দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রার্থীদের অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। কিন্তু সেসব মিছিলে রাজনীতির কোনও যোগ রয়েছে কি না জানতে চেয়েছে কমিশন।