মায়াবতীর চ্যালেঞ্জ শীর্ষ আদালতে খারিজ

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য ও ঘৃণা-ভাষণের জন্য গত সোমবার ভারতের নির্বাচন কমিশন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। নিষেধাজ্ঞার ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই কমিশনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-এর নেত্রী মায়াবতী। কিন্তু শীর্ষ আদালত মায়ার আবেদন খারিজ করে দেয়। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরও বিভিন্ন দলের রাজনীতিকরা একের পর এক বিদ্বেষমূলক মন্তব্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী করছে, সে প্রশ্ন তুলে গত সোমবার কমিশনকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘৃণা-ভাষণের অভিযোগে মায়াবতী ও যোগী আদিত্যনাথের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। ৭২ ঘণ্টার জন্য যোগী আদিত্যনাথের এবং ৪৮ ঘণ্টার জন্য মায়াবতীর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মায়াবতী। কিন্তু তা সরাসরি খারিজ করে দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, 'মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন এবার জেগে উঠেছে আমাদের নির্দেশে। রাজনীতিকদের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে শুরু করেছে। এ থেকে স্পষ্ট যে পুনরায় আদালতকে আর এমন নির্দেশ দিতে হবে না।' সম্প্রতি দেওবন্দে এক জনসভায় গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে মায়াবতীর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এবং তাদের জোটের মধ্যে কোনও ভাবেই যেন ভোট ভাগ না হয়, এমন হুঁশিয়ারি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ার বিরুদ্ধে। যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। জয়প্রদা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে। তারপরই ৭২ ঘণ্টার জন্য তার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার কারণে বিজেপি প্রধান অমিত শাহ ও সমাজবাদী দলের নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন এবারও একই কারণে যোগী আদিত্যনাথ ও মায়াবতীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল। তবে এরপরও হয়তো কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর পক্ষপাতের অভিযোগ থেকেই যাবে। কারণ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কমিশন পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।