অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার

কেরালায় বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করেছে বাম বিজয়ন সরকার

আরব থেকে বেআইনিভাবে সোনা আমদানি, সমবায় ব্যাংক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের নাম এলেও চুপ ইডি ওসিবিআই

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
ভারতে লোকসভা ভোটে বিরোধী 'ইনডিয়া' জোট নরেন্দ্র মোদি সরকার হটানোর প্রত্যয় ষোষণা করলেও বিভিন্ন রাজ্যে জোটের একাধিক নেতা একে-অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কদিন আগে বলেছেন, ইনডিয়া জোট রাজ্যের বাইরে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস কেন্দ্রে শাসক দল বিজেপির চর। একইভাবে এবার কেরালায় সিপিএমের সঙ্গে সংঘাতে গেলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শনিবার নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের পথনমথিট্টায় গিয়ে কড়া ভাষায় তিনি ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়নকে নিশানা করলেন। কংগ্রেসের জনসভায় প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য, 'কেরলার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। তাই ওদের (বিজেপি) সমালোচনা না করে বারবার রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন।' তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ কূটনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে আরব থেকে বেআইনিভাবে সোনা আমদানি, কারুভান্নুর সমবায় ব্যাংক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে বিজয়নের নাম উঠে আসা সত্ত্বেও ইডি, সিবিআইর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো বিজয়নের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়নি, সেই অভিযোগও উঠে এসেছে প্রিয়াঙ্কার বক্তৃতায়। প্রিয়াঙ্কার জনসভার আগেই সিপিএমের ভোটপ্রচারে কোঝিকোড়ে বিজয়ন ডিএলএফ জমি কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ভঢরা এবং তার ব্যবসায়িক সহযোগী ডিএলএফের বিরুদ্ধে হরিয়ানায় জমি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ডিএলএফ বিপুল অংকের অর্থ বিজেপির তহবিলে দেওয়ার পরই 'ক্লিনচিট' দেওয়া হয় তাদের। বিজয়নের উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কার পাল্টা প্রশ্ন, 'সোনা চোরাচালান মামলা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এজেন্সিগুলো আপনার বিরুদ্ধে কোন্‌ পদক্ষেপটা নিয়েছে?' বামেদের অনুরোধ উড়িয়ে রাহুল দ্বিতীয়বার কেরালার ওয়েনাড় লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরই কেরালা সিপিএম নেতৃত্বাধীন শাসক জোট ধারাবাহিকভাবে নিশানা করছেন তাকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার কেরালা কংগ্রেসের জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, 'বিরোধী দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা অহরহ কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিশানা হচ্ছেন। কিন্তু একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি গ্রেপ্তার, এমনকি জিজ্ঞাসাবাদও করছে না?' এরপরই কোঝিকোড়ে সিপিএমের সমাবেশ থেকে রাহুলের ওই মন্তব্যের 'জবাব' দেন বিজয়ন। সেই সঙ্গে নাম না করে অতীতে রাহুল গান্ধীর নামের সঙ্গে 'পাপ্পু', 'আমুল বেবি'র মতো শব্দ জুড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। বিজয়ন বলেন, 'রাহুল গান্ধী, আপনার পুরনো নাম আছে। এখনো সেই ভাবমূর্তি থেকে আপনি সরে আসতে পারেননি। এমন পরিস্থিতি থাকা উচিত নয়।' রাহুলের দাদি ইন্দিরা গান্ধী ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করে বাম নেতাদের দেড় বছর কারাবন্দি করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন সিপিএমের পলিটবু্যরো সদস্য।