নতুন জরিপ

নোট বাতিলে চাকরিহারা ৫০ লাখ কর্মী, অস্বস্তিতে মোদি সরকার

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
গত ৪৫ বছরে ভারতে কর্মসংস্থানের হাল সবচেয়ে খারাপ। সরকারি জরিপ প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে এমন তথ্য সামনে চলে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল মোদি সরকার। এবার ভোটের মধ্যেই চাকরি হারানো নিয়ে এমন এক জরিপের তথ্য সামনে এল, যা মোদি সরকারের অস্বস্তি আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়ার পক্ষে যথেষ্ট। নতুন জরিপে ওঠে এসেছে, নোট বাতিলের পর থেকে গত দু'বছরে প্রায় ৫০ লাখ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'দ্য সেন্টার ফর সাস্টেইনেবল এমপস্নয়মেন্ট' একটি জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। 'স্টেট অব ওয়ার্কিং ইন্ডিয়া-২০১৯' নামে ওই রিপোর্টে যদিও বলা হয়েছে, নোট বাতিল এবং চাকরি খোয়ানোর মধ্যে কোনো সংযোগ স্থাপন করা না গেলেও, এটা স্পষ্ট যে, চাকরি হারানোর প্রবণতা বেড়েছে ২০১৬ সালের নভেম্বরের পর থেকে। জরিপটি করেছেন আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক আনন্দ শ্রীবাস্তব, রোসা আব্রাহাম এবং অমিত ভোঁসলে। চাকরি হারানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের হারের তুল্যমূল্য আলোচনাও করা হয়েছে নতুন জরিপে। তাতে ওঠে এসেছে, ২০১১ সাল থেকেই কর্মসংস্থানের হার কমতে থাকে। নতুন এই জরিপে দেখা গেছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ নতুন শতাব্দীর প্রথম দশকে বেকারত্বের হার ছিল ২ শতাংশের উপরে। ২০১১ সালে সেটা সেটা বেড়ে হয় ৩ শতাংশের বেশি। ৫ শতাংশের উপরে ছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত। কিন্তু নোট বাতিলের পর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের পর এই হার ৬ শতাংশেরও উপরে গিয়ে পৌঁছায়। জরিপে তিন অধ্যাপকের দাবি, নোট বাতিলের পর পুরুষ কর্মীদের চেয়ে মহিলা কর্মীদের ওপরই চাকরিতে চাপ পড়েছে বেশি। তাদের বক্তব্য, 'সাধারণ ভাবে পুরুষদের চেয়ে মহিলারা বেশি ভুক্তভোগী। মহিলাদের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনই চাকরিতে অংশগ্রহণের হারও কম।' রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রে নোট বাতিলের প্রভাব বেশি পড়েছে। সাধারণত, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কম শিক্ষিতরা বেশি চাকরি করেন, এবং সংগঠিত ক্ষেত্রে ছবিটা উল্টো।