২০ মিনিটেই মৃতু্যপুরী

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
একের পর এক বিস্ফোরণে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ শ্রীলংকার গির্জা ও অভিজাত হোটেলগুলো কেঁপে উঠছে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় ভয়াবহ বোমা হামলা ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটিকে মৃতু্যপুরীতে পরিণত করে। রোববার শ্রীলংকার মোট আট জায়গায় বোমার বিস্ফোরণ হয়। যেগুলোর বেশিরভাগই আত্মঘাতী হামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। শ্রীলংকায় ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি কেউ। সময়ের হিসাবে একের পর এক ঘটনাগুলো তুলে ধরা হলো: সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট: রাজধানী কলম্বোর শাংরি লা হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট: কলম্বোর কোতাহেনা কোচিকাডের সেইন্ট অ্যান্থনির চার্চে বোমা বিস্ফোরণ। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট: নেগাম্বোর কাটুয়াপিতিয়ার সেইন্ট সেবাস্টিয়ান ক্যাথলিক চার্চে বোমা বিস্ফোরণ। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট: কলম্বোর কিংসবুরি হোটেলে বোমা বিস্ফোরণ। সকাল ৮টা ৫০ মিনিট: কলম্বোর সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলের রেস্তোরাঁয় বোমা বিস্ফোরণ। সকাল ৯টা ০৫ মিনিট: বাত্তিকালোয়ার জিয়ন রোমান ক্যাথলিক চার্চে বিস্ফোরণ। ১১ টা ৩০ মিনিটে: প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জরুরি নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক করেন। ১১টা ৪০ মিনিট: সরকার দেশজুড়ে দুই দিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে। ১২টা ১৫ মিনিট: প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জনগণকে শান্ত থাকার আহ্‌বান জানান। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট: আবারও বোমা বিস্ফোরণ। এবার দেহিওয়ালার জাতীয় চিড়িয়াখানার কাছে নিউ ট্রপিকাল ইন হোটেলে। যা ছিল দিনের সপ্তম বোমা বিস্ফোরণ। দুপুর ২টা ১৫ মিনিট: কলম্বোর দিমাটাগোদায় একটি বাড়িতে পুলিশি অভিযান চলার সময় বিস্ফোরণ। দিনের অষ্টম এই বিস্ফোরণে তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। দুপুর ২টা ২০ মিনিট: দেহিওয়ালার জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেয়া হয়। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট: সরকার ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং মেসেজ আদানপ্রদানের সাইটগুলো বন্ধ করে দেয়। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট: সরকার দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করে। বিকাল ৪টা: সব গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট: সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। বিকাল ৫টা: প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। বিকাল ৫টা ২০ মিনিট: বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭ হয়েছে বলে জানায় পুলিশ, আহত ৪৫০। সন্ধ্যা ৭টা: পুলিশ বিস্ফোরক বহনকারী একটি ভ্যান খুঁজে পায়। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট: পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে হামলায় ৩২ বিদেশি নাগরিক নিহত এবং ৩০ জন আহত হওয়ার কথা জানানো হয়। রাত ৮টা ৫০: সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরও কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে তা খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর তদন্তের নির্দেশ। রাত ৯টা ৩০ মিনিট: সিরিজ বোমা হামলায় জড়িত সন্দেহে ১৩ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। তারা সবাই শ্রীলংকার নাগরিক। রাত ১০টা ৩০ মিনিট: একটি মসজিদে পেট্রল বোমা মারা হয়। এছাড়া দেশের দুই প্রান্তে মুসলমান মালিকের দুটি দোকানে আগুন দেয়া হয়।