পুতিন-কিম শীর্ষ বৈঠক

রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া সুসম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রম্নতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় রুশ সহায়তা চেয়েছেন কিম

প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বৈঠকে কিম জং-উন ও ভস্নাদিমির পুতিন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন তাদের মধ্যকার প্রথম শীর্ষ বৈঠকে পারস্পরিক সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী ভস্নাদিভস্তকের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্কি দ্বীপে বৃহস্পতিবার দুই নেতার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি মস্কোর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং উত্তর কোরীয় নেতা কিম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর রুশ সহায়তা চেয়েছেন। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উদ্বোধনী বক্তব্যে রাশিয়া ও উত্তর কোরীয় নেতা দুই দেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা উলেস্নখ করেন। পুতিন বলেন, তিনি কোরিয়া অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান। রুশ প্রেসিডেন্ট কিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আপনার এই রাশিয়া সফরের ফলে কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান করতে পারি, এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রাশিয়া কীভাবে ইতিবাচক উপায়ে ভূমিকা রাখতে পারে, তা ভালোভাবে অনুধাবনে আমাদের সাহায্য করবে।' এদিকে, উত্তর কোরীয় নেতা কিম বলেছেন, 'তিনি আশা করেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর বৈঠক হবে যাদের দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস রয়েছে।' এর আগে উত্তর কোরীয় নেতা কিম গত বুধবার সাঁজোয়া ট্রেনযোগে রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি আন্তরিকভাবে সৌজন্য বিনিময় করেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, 'ক্রেমলিন বিশ্বাস করে উত্তর কোরিয়ায় ছয় জাতি আলোচনা যা বর্তমানে স্থগিত আছে, সেটাই এই উপদ্বীপের পরমাণু অস্ত্র বিষয়ক সমস্যাকে সমাধানের একমাত্র কার্যকর উপায়। ২০০৩ সালে সেই আলোচনা শুরু হয়েছিল, যাতে দুই কোরিয়া ছাড়াও চীন, জাপান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ছিল। গত ফেব্রম্নয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এই সফরকে উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বিশাল সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে তাদের যে শক্তিশালী বন্ধু রয়েছে, সেটা তুলে ধরা সম্ভব হবে। উত্তর কোরিয়া হ্যানয়ের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে দোষারোপ করেছে। পিয়ংইয়ং-এর অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করছে না- সেটি তুলে ধরারও একটি সুযোগ এই বৈঠক।