স্মৃতি ইরানি রাহুল গান্ধী
ভারতের বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানির পাশে দাঁড়িয়ে এবার দলীয় নেতাকর্মীকে বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। শুধু দলীয় কর্মী নন, বিজেপি নেত্রী তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিন্দুকদের উদ্দেশেও রাহুলের বার্তা, স্মৃতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কংগ্রেস নেতা জানান, মানুষকে অপমান করা দুর্বলতার লক্ষণ।
শুক্রবার রাহুল লেখেন 'জীবনে জয়-পরাজয় ঘটেই। আমি সবাইকে এ বিষয়ে স্মৃতি ইরানির বা অন্য কোনো নেতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার না করার আহ্বান জানাই। মানুষকে অপমান করা কোনোভাবেই শক্তি দেখানোর পর্যায়ে পড়ে না। বরং দুর্বলতার লক্ষণ।'
উত্তরপ্রদেশের আমেথির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক অনেক পুরনো। ১৯৭৭ সালে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের এই আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন রাজীব গান্ধীর ভাই সঞ্জয়। বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয়ের অকাল মৃতু্যর পর ১৯৮১ সালের উপনির্বাচন হয় আমেথিতে। সেই নির্বাচনে জয় পান রাজীব। ১৯৯১ সালের লোকসভা ভোট ভোটের মধ্যে এলটিটিই-র মানববোমায় রাজীবের মৃতু্যর পর আমেথি থেকে কংগ্রেস রাজীব-ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মাকে প্রার্থী করে। জয় পান তিনি। ১৯৯৯ সালে আমেথিতে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে পদার্পণ করেছিলেন রাজীব-পত্নী সোনিয়া গান্ধী। তারপর থেকে এই আসনে টানা জয় পেয়েছে কংগ্রেস। সোনিয়ার পর আমেথি থেকে লড়েন রাহুল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই আসন থেকে কংগ্রেস জয় পেয়েছে। তবে ২০১৯ সালে পালাবদল ঘটে।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে আমেথি লোকসভা আসন থেকে লড়ে হেরেছেন স্মৃতি। কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরীলাল শর্মার কাছে লক্ষাধিক ভোটে হারেন তিনি। তার পরাজয়ের পরই নানা সময় স্মৃতিকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতাকর্মীকে। তবে পাঁচ বছর আগে এই রাহুলের বিরুদ্ধেই জয় পেয়েছিলেন স্মৃতি।
তবে লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার মাস খানেক পরে রাহুল কেন হঠাৎ স্মৃতির পাশে দাঁড়ালেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। অবশ্য পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাহুল যে মন্তব্য করেছেন, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার। তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ