ইউক্রেন যুদ্ধ

দুর্নীতিগ্রস্ত জেলেনস্কিকে সরিয়ে দিতে চাইছে আমেরিকা!

যুদ্ধের নামে যে অর্থ সাহায্য পাচ্ছেন তিনি, তা ব্যক্তিগত ভোগবিলাসে 'নয়ছয়' করতে শুরু করেছেন

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর আস্থা হারাচ্ছে ঘনিষ্ট মিত্র আমেরিকা। এ কারণে তাকে গদি থেকে সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ার গোয়েন্দা দপ্তর 'ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর)'। তথ্যসূত্র : মেহের নিউজ জেলেনস্কির কাজকর্ম নিয়ে নাকি মোটেও সন্তুষ্ট নন জো বাইডেন এবং তার বন্ধু দেশগুলো। আর সেই কারণেই নাকি জেলেনস্কিকে সরানোর পরিকল্পনা চলছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা দপ্তর এটাও দাবি করেছে, ইউক্রেনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা-ও নাকি ঠিক করে ফেলেছে আমেরিকা। শোনা যাচ্ছে, জেলেনস্কিকে সরিয়ে সেই জায়গায় বসানোর জন্য ইউক্রেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকভের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার বিরোধিতা করে যে জেলেনস্কির সমর্থনে আমেরিকা ঢালের মতো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, জো বাইডেনের সরকার তাকেই কেন গদি থেকে সরাতে চাইছে বলে দাবি উঠছে? মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে এসভিআর দাবি করেছে, আমেরিকার ধনকুবেররা জেলেনস্কির প্রতি ক্রমশ অসন্তুষ্ট হয়ে উঠছেন। কারণ, রুশ 'আগ্রাসন' ঠেকাতে যে কোটি কোটি ডলার ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তা কীভাবে খরচ করা হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করেছেন তারা। দাবি উঠেছে, যুদ্ধের নামে যে অর্থ সাহায্য জেলেনেস্কি আমেরিকা এবং বন্ধু দেশগুলোর থেকে পাচ্ছেন, তা ব্যক্তিগত ভোগবিলাসে 'নয়ছয়' করতে শুরু করেছেন। আর তা নিয়ে তার ওপর বিরক্ত আমেরিকার রাজনীতিক থেকে বিত্তশালীরা। আমেরিকার প্রভাবশালীরা নাকি বলতে শুরু করেছেন, ইউক্রেনের হিতের কথা আর ভাবছেন না জেলেনস্কি। বরং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একের পর এক এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন যা, ইউক্রেনের জন্য 'ক্ষতিকর'। সম্প্রতি রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে হামলা চালাতে শুরু করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ জেলেনস্কি। জেলেনস্কির বিবৃতি এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলেছে। রাশিয়া যেমন চমকে গেছে, তেমনই অবাক হয়েছে ইউক্রেনের বন্ধু দেশগুলোও। আমেরিকাও নাকি ইউক্রেনের এই পদক্ষেপের কথা আগে থেকে জানতে পারেনি। এ নিয়েও নাকি আমেরিকা বিরক্তি প্রকাশও করেছে। রুশ গোয়েন্দা দপ্তরের মতে, এসব কারণেই আরও নিয়ন্ত্রিত এবং কম দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে জেলেনেস্কির পদে বসাতে চাইছে আমেরিকা। আর সেখান থেকেই নাকি আভাকভের কথা মাথায় এসেছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসেন আভাকভ। ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। এসভিআরের দাবি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাদের নাম উঠে আসছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে 'উপযুক্ত' মনে করা হচ্ছে আভাকভকেই।