চলতি বছরের ৫ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। ফলে বিশ্বজুড়েই এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে এই দুইজনের মধ্যে কে ভালো হবেন, সে সম্পর্কে জাপানে একটি জরিপ চালিয়েছে সংবাদমাধ্যম 'রয়টার্স'। এতে অধিকাংশ জাপানি কোম্পানি জানিয়েছে, কমলা হ্যারিসই ভালো হবেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স
জাপানের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা। দেশটিতে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে রয়েছে বিশাল বাণিজ্য অংশীদারত্ব।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত জরিপের ফলে দেখা গেছে, ৪৩ শতাংশ জাপানি কোম্পানি করপোরেট কৌশল ও ব্যবসার ক্ষেত্রে কমলা হ্যারিসকে পছন্দ করছেন। এ ক্ষেত্রে আট শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। এ ছাড়া মোট ৪৬ শতাংশ মনে করছেন, দুই প্রার্থীই ভালো হবেন। যদিও তিন শতাংশ বলেছেন, দুইজনের একজনও ভালো নন।
জরিপে একটি সিরামিকস উৎপাদনকারী কোম্পানির ম্যানেজার বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের পাশাপাশি নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হতে পারে। কারণ, ট্রাম্পের সময় জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল না। এর কারণ ছিল বাণিজ্য উত্তেজনা ও ট্রাম্পের দাবি ছিল সামরিক খাতে আরও সহায়তা। ক্যামিক্যাল কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'কমলা হ্যারিসের ক্ষেত্রে আমরা আশা করতে পারি, বর্তমান নীতিগুলো ব্যাপকভাবে বজায় থাকবে, যা ভবিষ্যতে আমাদের আরও ভালো ফল দেবে।'
কমলার বিরুদ্ধে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের
অভিযোগ আনলেন ট্রাম্প
এদিকে, আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি। দুই দলের প্রার্থীরাই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এই নির্বাচনে প্রথম দিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বর্তমান চিত্র ভিন্ন। তার নির্বাচনী সমাবেশে ক্রমবর্ধমান জনসমাগম এর ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, কমলার সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ভুয়া। ট্রাম্পের দাবি, 'এআই' প্রযুক্তি ব্যবহার করে কমলা হ্যারিসের সমাবেশে জনসমাগম দেখানো হয়েছে। রোববার এই অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও দিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প লেখেন, কেউ কি লক্ষ্য করেছেন, কমলা বিমানবন্দরে প্রতারণা করেছেন? বিমানে কেউ ছিল না। তিনি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথাকথিত অনুসারীদের একটি বিশাল ভিড় দেখিয়েছিলেন। অথচ তারা কেউ সেখানে ছিলেন না।' উদাহরণ হিসেবে ট্রাম্প ৭ আগস্ট মিশিগানের একটি টারমাকে জড়ো হওয়া বিশাল জনতার চিত্র উলেস্নখ করেন। সেখানে কমলা হ্যারিস বিমান থেকে নামার সময় তার সমর্থকদের উলস্নাসে মাততে দেখা যায়।
এ বিষয়ে কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবির জানায়, ট্রাম্পের দাবি বানোয়াট। মিশিগানে হ্যারিসকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ভিড় করেছিল। সে সময়ই ছবিগুলো তোলা হয়, যা সম্পূর্ণ আসল। অন্যদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম 'সিএনবিসি' ছবিগুলো যাচাই করে জনসমাগমের সত্যতা পেয়েছে। ওইদিন বাস্তবিকভাবেই হাজারও মানুষ বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিলেন।