ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক পরিকল্পনা

মধ্যপ্রাচ্যে লাখো সেনা পাঠানো অথবা পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদার

প্রকাশ | ১৫ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প হাসান রুহানি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কাছে হালনাগাদ করা সামরিক পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছেন এক জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। এই পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে ইরানের হামলা ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সেনা পাঠানো অথবা পারমাণবিক কর্মসূচি জোরদারের প্রস্তাব। এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ সমুদ্রবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে সন্দেহের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানবিরোধী হুমকির ধারাবাহিকতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিললে তার ফল তেহরানের জন্য ভালো হবে না। তবে দেশটির বিরুদ্ধে তিনি কী পদক্ষেপ নেবেন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি ট্রাম্প। সংবাদসূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, রয়টার্স সংবাদমাধ্যমগুলো ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্যাট্রিক শ্যানন ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তার কাছে এই পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছেন। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আর পেন্টাগন এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ২০১৭ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে করা ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। এরপরই তিনি ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি ইরানের সব ধরনের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। চলতি সপ্তাহে সামরিক চাপ সৃষ্টির জন্য পারস্য উপসাগরে যুদ্ধজাহাজ এবং মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানে হামলার বিষয়ে গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, সিআইয়ের পরিচালক জিনা হ্যাসপেল, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ড্যান কোটস এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে একাধিক পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল এক লাখ ২০ হাজার সেনা মোতায়েন, যা শেষ করতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস লাগতে পারে। ইরানকে ট্রাম্পের নতুন হুমকি : এদিকে, আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সোমবার সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, এর মধ্যে তাদের দুটি তেল ট্যাংকার রয়েছে। দুটি সৌদি ট্যাংকারের মধ্যে একটির অপরিশোধিত তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। এছাড়া বিস্ফোরণের লক্ষ্যবস্তু হওয়া চারটি জাহাজের একটি নরওয়েজিয়ান পতাকাবাহী ও একটি আমিরাতের। এ বিস্ফোরণকে 'অন্তর্ঘাতমূলক হামলা' বলে উলেস্নখ করেছে আমিরাত কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তাও চেয়েছে তারা। মার্কিন একটি সামরিক দলের প্রাথমিক ধারণা, ইরানের ইন্ধনেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। গত সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এ বিস্ফোরণের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ট্রাম্প ইরানি সংশ্লিষ্টতার প্রশ্নে বলেন, তেমন 'কিছু ঘটলে তাতে ইরান বাজে ধরনের সমস্যায় পড়বে।'