উপসাগরে উত্তেজনা

সৌদি আরবও যুদ্ধ এড়াতে চায় কিন্তু জবাব দিতে প্রস্তুত

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর
যাযাদি ডেস্ক মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ এড়াতে চায় বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। তবে যেকোনো শক্তি মোকাবেলায় সৌদি জবাব দিতে প্রস্তুত বলে রোববার জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর। গত মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে চারটি তেলবাহী ট্যাংকারে গুপ্ত হামলা চালানো হয়। জাহাজগুলোর মধ্যে দুটি সৌদি মালিকানাধীন। এরপরই আরও দুটি সৌদি তেল পাম্পে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, ইরান এই হামলার পেছনে মদদ দিচ্ছে। ইরান অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, ইরান ওই অঞ্চলটি অস্থিতিশীল করতে চাইছে বলে বল এখন ইরানের কোর্টে। ইসলামিক রিপাবলিক ইরান যেন মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করা থেকে বিরত থাকে, এর দায়িত্ব নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার দুইদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে চারটি জাহাজে অন্তর্ঘাতমূলক হামলা হয়। হামলার শিকার চারটি জাহাজের মধ্যে সৌদি আরবের দুটি তেলবাহী ট্যাংকার রয়েছে। এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। কিন্তু ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা চলার মধ্যে এসব হামলার ঘটনায় উত্তেজনা আরও টান টান হয়ে ওঠে। যেকোনো সময় ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে এমন উদ্বেগ দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতেই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবেইর সংবাদ সম্মেলনে ওই পরোক্ষ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'এই যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য যা করা সম্ভব সৌদি আরব তা করবে এবং একই সময় এটিও পুনর্নিশ্চিত করছে যে, এ ঘটনায় অন্যপক্ষ যুদ্ধ বেছে নিলে, সৌদি আরব সর্বশক্তি ও দৃঢ়তা নিয়ে জবাব দেবে এবং নিজেকে ও নিজের স্বার্থকে রক্ষা করবে।' এসব হামলার ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৩০ মে মক্কায় উপসাগরীয় ও আরব নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সোউদ। এদিকে, শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফও জানিয়েছেন, তেহরান কোনো যুদ্ধ চায় না এবং কোনো দেশ 'ইরানের মুখোমুখি হওয়ার বিভ্রমে' ভুগছে না বলে মনে করছেন তারা। নাগরিকদের ইরান ও ইরাক ছাড়ার নির্দেশ বাহরাইনের এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বাহরাইন তার নাগরিকদের ইরাক ও ইরান ভ্রমণে যেতে নিষেধ করেছে এবং এরই মধ্যে যারা ওই দেশ দুটিতে আছেন, তাদের 'তাক্ষণিকভাবে' সেখান থেকে ফিরতে বলেছে। নাগরিক নিরাপত্তার জন্যই এসব নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বিএনএ-র ভাষ্য অনুযায়ী, ওই নির্দেশনায় বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় 'অস্থিতিশীল আঞ্চলিক পরিস্থিতি, বিপজ্জনক লক্ষণ ও সম্ভাব্য হুমকির' কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দেখা দেয়া প্রবল উত্তেজনার কারণে নিজেদের নাগরিকদের প্রতি এই সতর্ক বার্তা দিল বাহরাইন।