ভারতের অরুণাচল

অস্ত্রধারীদের হামলায় বিধায়কসহ নিহত ১১

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নিহত তিরোং আবো
ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অস্ত্রধারীদের হামলায় এক বিধায়কসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। অরুণাচলের তিরাপ জেলার বোগাপানি নামক গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হামলার এই ঘটনা ঘটে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভয়াবহ এই হামলায় নিহত অরুণাচল প্রদেশের খোনসা পশ্চিম বিধানসভা আসনের বিধায়কের নাম তিরোং আবো। তিনি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) বিধায়ক ছিলেন। তিরাপের জেলা প্রশাসক পি এস থুঙ্গন হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রায় ২০ জন অস্ত্রধারী অতর্কিতে বিধায়ক তিরং আবো ও তার সঙ্গীদের ঘিরে ফেলে। তারপর তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই বিধায়ক তিরংসহ তার ১০ জন সঙ্গী প্রাণ হারান। জেলা প্রশাসক পিএস থুঙ্গন জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তদের হামলায় বিধায়কসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নাগাল্যান্ডের সশস্ত্র নাগা বিদ্রোহী গোষ্ঠী (খাপলাং) এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তিরাপ জেলায় ওই জঙ্গি সংগঠনের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। খাপলাং জঙ্গিগোষ্ঠীটির একটি অংশ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার বার্তা দিলেও, ওই সংগঠনের মিয়ানমার থেকে নিষ্ক্রিয় আরেকটি অংশ এখনো আলোচনায় রাজি নয়। অরুণাচল পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) সুনীল গর্গ জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, তারা সন্দেহ করছেন জঙ্গিরাই হত্যা করেছে তিরং এবং তার সঙ্গীদের। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় নাগা বিদ্রোহী গোষ্ঠী 'এনএসসিএন' হামলাটি করেছে। এদিকে, এই খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ও এনপিপির সভাপতি কনরাড কে সাংমা। টুইট করে জানান, 'ঘটনায় এনপিপির নেতা-কর্মীরা প্রচন্ড দুঃখ পেয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দ্বারস্থ হচ্ছি। এই ঘটনার পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার দাবিও জানাচ্ছি।' আগামীকাল লোকসভা নির্বাচনের ফলের সঙ্গেই প্রকাশিত হবে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের ফল। বিধানসভা নির্বাচনের পরই পশ্চিম খোনসা আসনে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছিলেন তিরোং আবো। তারপরই তার ওপর এভাবে নাগা বিদ্রোহীদের হামলার ঘটনা ঘটে, যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।