ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তায় বাইডেন প্রশাসনের তাড়াহুড়া

প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জো বাইডেন -ফাইল ছবি
ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা তহবিলের অর্থছাড়ে তড়িঘড়ি করছে মার্কিন প্রশাসন। বুধবার এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, নবনির্বাচিত ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা বুঝে নেওয়ার আগেই জেলেনস্কি সরকারের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে চায় আমেরিকা। সেই লক্ষ্যেই বাইডেন প্রশাসন অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তায় প্রবল আপত্তি রয়েছে ট্রাম্পের। এই ইসু্যতে নিয়মিত বাইডেনের কড়া সমালোচনা করে গেছেন তিনি। এছাড়া, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে 'বিশ্বের সেরা বিক্রেতা' (ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট সেলসম্যান) বলে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। সবমিলিয়ে, সামনের বছর থেকে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা থেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্রেটদের আর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এবার সিনেটে ৫২ আসন দখলে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেছে রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা। আর প্রতিনিধি পরিষদেও রয়েছে তাদেরই আধিপত্য বিস্তারের আভাস। ফলে, কিয়েভে মার্কিন সহায়তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। গত এপ্রিলে ইউক্রেনের জন্য ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করে আমেরিকা। প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের আপত্তির কারণে এই উদ্যোগ সফল করতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ডেমোক্রেটদের। তহবিলের ৪৩০ কোটি ডলার এখনো ছাড় করানো বাকি রয়ে গেছে। সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তা পেলে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতেন না। তিনি আরও বলেছেন, ওভাল অফিসে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি যুদ্ধ থামাতে পারবেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনের হয়ত রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখন্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে তার এই পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনকে সাময়িক সহায়তা দেওয়া নিয়ে সমালোচনায় সরব ছিলেন নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনেটর জেডি ভ্যান্স-ও। তিনি বলেছেন, সরকারি তহবিলের অর্থ অভ্যন্তরীণ খাতে খরচ করলে বরং মার্কিনিরা লাভবান হতেন।