রোববার শপথগ্রহণ!

ফুরফুরে মেজাজে বিজেপি, নতুন সরকারের পরিকল্পনা প্রকাশ

এনডিএ শরিকদের সম্মানে দিলিস্নতে নৈশভোজের আয়োজন করলেন মোদি আগামী ৫ বছর সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে রূপরেখায় তা বলা হয়েছে

প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিজেপি-প্রধান অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বুথফেরত জরিপে জয়ের আভাসের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বিজেপি। এরই মধ্যে সরকার গঠনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-প্রধান অমিত শাহ মঙ্গলবার একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। একে এনডিএ জোট সরকার গঠনের 'বস্নু প্রিন্ট' নাম দিয়েছেন তারা। বিগত সরকারের ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপে জোট সরকার গঠিত হলে, সেই সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী হবে; মোদি-অমিতের উন্মোচিত পরিকল্পনায় সেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি সাত দফায় অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গত ১৯ মে। আজ ঘোষণা করা হবে ফল। ১৪টি বুথফেরত জরিপের মধ্যে ১২টি-ই আভাস দিয়েছে আবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। জরিপগুলোতে ওই জোটের ২৮২-৩৬৫টি পর্যন্ত আসন পাওয়ার আভাস মিলেছে। ?এদিকে, খোশ মেজাজে থাকা নরেন্দ্র মোদি আগামী রোববার রেডিওতে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এমনকি ওইদিনের মধ্যে শপথগ্রহণের জন্যও না কি তিনি প্রস্তুত। জরিপের ফল নিয়ে তেমন একটা উচ্চবাচ্য না করলেও বিজেপি তার জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনা থামিয়ে রাখেনি। মঙ্গলবার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট তথা এনডিএ শরিকদের জন্য দিলিস্নর অশোকা হোটেলে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে, শরিকদের সবার সম্মতিক্রমে মোদি-অমিত শাহ পরবর্তী এনডিএ সরকারের রূপরেখা ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে এক সমন্বিত পরিকল্পনা আকারে হাজির করেন। সরকার গঠনে সমর্থ হলে পরবর্তী পাঁচ বছর ভারতের সরকার পরিচালিত হবে ঘোষিত ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী। একে আগামী সরকারের 'বস্নু প্রিন্ট' বলছে বিজেপি। সেখানে জাতীয় নিরাপত্তা, জাতীয়তাবাদ এবং উন্নয়ন- এই তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, 'মঙ্গলবারের নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এনডিএর শরিক দলের ৩৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তাবে গত পাঁচ বছরে এনডিএ সরকারের সফল স্কিমগুলো সম্পর্কে উলেস্নখ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, 'গত পাঁচ বছর ধরে মানুষের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। পরবর্তী পাঁচ বছর আমরা অগ্রগতির গতি বাড়াবো ও জনগণের অন্য প্রয়োজনগুলো পূরণ করব।' রাজনাথ আরও জানান, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপ, অর্থ পাচার ও বৈশ্বিক উষ্ণতারোধে ভারত কীভাবে বৈশ্বিক ডিসকোর্সকে প্রভাবিত করে, তারও উলেস্নখ রয়েছে প্রস্তাবে। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইসু্য হিসেবে নিয়েছে এনডিএ জোট। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, 'জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এনডিএ সরকারের অবস্থান দৃঢ় এবং আমি বলতে পারি কূটনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত নমনীয় বলে যে ধারণা ছিল, সেটা পাল্টে গেছে।' শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর দিলিস্নতে দলের সদর দপ্তরে বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন মোদি-শাহ। শাহ বলেন, 'গত পাঁচ বছর তাদের কঠিন পরিশ্রম ও দাগ কাটা সাফল্যের জন্য টিম মোদি সরকারকে অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই গতিকে ধরে রেখেই নতুন ভারত গড়তে হবে।