এবারও বিরোধীদলীয় নেতা পাচ্ছে না লোকসভা

পার্লামেন্টে অন্তত ৫৫টি আসন থাকতে হয়

প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের লোকসভা ভবন
২০১৪ সালের লোকসভার মতো এবারও টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিরোধীদলের নেতাবঞ্চিত থাকতে যাচ্ছে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা। বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের বড় জয়ের পর দ্বিতীয় একক বড় হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে কংগ্রেস। তবে তারা পেয়েছে ৫১টি আসন। ৫৪২ আসনের লোকসভায় বিরোধী নেতা নির্বাচন করতে হলে কোনো দলের অন্তত ৫৫টি আসন থাকা দরকার। সেই হিসেবে কংগ্রেস থেকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনে আরও চার আসনের দরকার হলেও তা পায়নি দলটি। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি ভারতে বিরোধীদলীয় নেতা একটি সাংবিধানিক নিয়োগ। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কমিশন, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইট কমিশন এবং ন্যাশনাল জুডিশিয়াল নিয়োগ কমিশনের অংশ এই বিরোধীদলীয় নেতা। পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধীদলীয় নেতা নিয়োগ পেতে হলে পার্লামেন্টে অন্তত ১০ শতাংশ বা ৫৫টি আসন থাকতে হয়। তবে বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফল অনুযায়ী কোনো দলই ওই সংখ্যক আসন পায়নি। ৫১টি আসন পেয়ে কংগ্রেসই বৃহত্তম বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ৩০৩ আসনে জয় পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। ২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল ২৮২ আসন। মিত্রদের নিয়ে তাদের আসন দাঁড়ায় ৩৩৬। সেবার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফল করে ভারতের সবচেয়ে পুরনো দল কংগ্রেস। জওহরলাল নেহরু ও রাজিব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পার্লামেন্টে কোনো বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন না। ১৯৮৪ সালে রাজিব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময়ে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪০৪ আসন। প্রয়োজনের চেয়ে তিন আসন কম পেয়েও তখন বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি'র) প্রধান। ২০১৪ সালে ৪৪ আসনে জয় পেয়ে বিরোধীদলীয় নেতার পদ দাবি করতে টিডিপির উদাহরণ হাজির করেছিল কংগ্রেস। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন স্পিকার। লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেতা না থাকলেও পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ৬৭ প্রতিনিধি নিয়ে বিরোধীদলে ছিল কংগ্রেস। সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ ছিলেন রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা আর বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি ছিলেন রাজসভার নেতা। ২০০৯ সালের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন অরুণ জেটলি।