ভারতের গুজরাটে ১৪ ভুয়া ডাক্তার গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
অষ্টম শ্রেণি পাস না করেও হওয়া যায় ডাক্তার। আর এজন্য খরচ করতে হয় মাত্র ৭০ হাজার রুপি। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে এমনই এক চক্রের খোঁজ মিলেছে। তারা অর্থের বিনিময়ে মেডিকেল ডিগ্রি প্রদান করত। যার পুরোটাই ভুয়া।
অভিযুক্তরা অর্থের বিনিময়ে 'বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনে'র ডিগ্রি দিত। তলস্নাশি চালিয়ে শতাধিক আবেদনপত্র, ভুয়া সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ১৪ ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, গুজরাটের সুরাটে এই ভুয়া মেডিকেল ডিগ্রির চক্রের খোঁজ মিলেছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডেটাবেসে ১২০০ ভুয়া ডিগ্রির হদিস মিলেছে। সেই তথ্যসূত্র ধরেই ১৪ জন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই ওই চক্রের কাছ থেকে ভুয়া ডিগ্রি কিনেছিল এবং সেই ডিগ্রি দেখিয়েই চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিল। গোটা ঘটনার মূল অভিযুক্ত ড. রমেশ গুজরাটিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অর্থের বদলে 'বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনে'র ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা। তলস্নাশি চালিয়ে শতাধিক আবেদনপত্র, ভুয়া সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু চিকিৎসক ভুয়া ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন বলে তাদের কাছে খবর আসে। পরে রাজস্ব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ হানা দেয় শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে। সেখানেই ভুয়া এসব ডাক্তারদের হদিস মেলে।
এই ভুয়া সার্টিফিকেট আবার বছর বছর রিনিউ করতে হতো। এর জন্য পাঁচ হাজার থেকে ১৫ হাজার রুপি চার্জ নেওয়া হতো। যে ভুয়া চিকিৎসকরা এই টাকা দিতেন না, তাদের এই চক্র নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বোর্ড অব ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের যে ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা, আদতে গুজরাট সরকার এমন কোনো ডিগ্রিই দেয় না। অভিযুক্তরা ভুয়া ওয়েবসাইটে তাদের ডিগ্রির রেজিস্ট্রেশন দেখাত। মূল অভিযুক্ত মনগড়া এই বোর্ড তৈরি করে ভুয়া ডিগ্রি দিচ্ছিলেন অর্থের বিনিময়ে। 'ইলেকট্রো-হোমিওপ্যাথি'র প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পাঁচজন কর্মীও রাখা হয়েছিল। তিন বছরের কম সময়েই ডিগ্রি কোর্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যেত। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি