গোয়েন্দা প্রধানের দাবি

ইউক্রেন যুদ্ধে লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি রাশিয়া

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউক্রেনে নিজেদের লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রাশিয়া এবং যুদ্ধের সব ক্ষেত্রে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্র গোয়েন্দা প্রধান সের্গেই নারিশকিন। তথ্যসূত্র : রয়টার্স সরকারি প্রকাশনা 'রাজভেদচি'কে তিনি বলেছেন, 'ফ্রন্টলাইনের পরিস্থিতি কিয়েভের পক্ষে নেই। যুদ্ধের সব ক্ষেত্রে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি আমরা পৌঁছে গেছি।' নারিশকিন আরও বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করার ক্ষমতা ও বৈধতা হারিয়েছেন। ২০২২ সালে ইউক্রেনে শুরু হওয়া রুশ অভিযানে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ও লক্ষাধিক মানুষের বাস্তুচু্যতি ঘটেছে। ১৯৬২ সালের 'কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসে'র পর মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সোভিয়েত যুগের কেজিবি'র উত্তরসূরি সংস্থা 'এসভিআরে'র নেতৃত্বে আছেন নারিশকিন। তিনি আমেরিকা ও পশ্চিমা শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন। তার বক্তব্য থেকে ক্রেমলিনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোজগতের আভাস পাওয়া যায়, যারা ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার পরোক্ষ যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের বিশ্বাস, মস্কোর শাসক গোষ্ঠীকে উৎখাত করতেই এসব করছে ওয়াশিংটন। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষকে 'যুদ্ধের পাগলামি' হিসেবে অভিহিত করে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত রোববার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, সোমবার জেলোনস্কি যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য তদবির করেছেন। এ ছাড়া, ন্যাটো জোটে ইউক্রেন যোগদানের আগ পর্যন্ত সেখানে বিদেশি সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনে বর্তমানে মস্কোর নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল আকারে আমেরিকার ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের সমান। ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিকের তুলনায় সবচেয়ে দ্রম্নতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে রুশ বাহিনী। 'ওপেন সোর্সে'র ম্যাপে দেখা গেছে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কুরাখোভে ও তোরেস্ক শহরে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি আছেন পুতিন। তবে তিনি বড় ধরনের কোনো আঞ্চলিক ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ও কিয়েভকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করতে বলেছেন। পুতিন বলেছেন, শান্তিচুক্তি করতে হলে ইউক্রেনে দখলকৃত চারটি অঞ্চল পুরোপুরি রুশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, যেগুলো বর্তমানে তার বাহিনীর আংশিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।