রাশিয়ার আকাশসীমায় আজারবাইজানের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এ ঘটনায় রাশিয়াকে দোষী হিসেবে উলেস্নখ করেননি তিনি। গত ২৫ ডিসেম্বরের দুর্ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মন্তব্য করতে গিয়ে শনিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন পুতিন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পুতিন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর ও আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। আহতদের দ্রম্নত সুস্থতা কামনা করেছেন। দুঃখপ্রকাশের এই বিরল বার্তায় পুতিন স্বীকার করেছেন যে বিমানটি একাধিকবার চেচনিয়ার গ্রোজনি বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করেছিল।
পুতিন বলেন, দুঃখজনক এই ঘটনা রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইউক্রেনীয় ড্রোন প্রতিহত করার সময় ঘটেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তখন গ্রোজনি, মোজডক এবং ভ্লাদিকাভকাজ শহরগুলো ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার শিকার হচ্ছিল এবং রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই আক্রমণগুলো প্রতিহত করছিল। তবে ক্রেমলিনের এই বিবৃতিতে বিমানটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এমন সরাসরি কোনও স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়নি।
বিমানটি চেচনিয়ার রুশ অঞ্চলে অবতরণের চেষ্টা করার সময় রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হামলার শিকার হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা পরে বিমানটিকে ক্যাস্পিয়ান সাগর পার হয়ে পথ পরিবর্তনে বাধ্য করে। এরপর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের এই বিমানটি কাজাখস্তানের আকতাউ অঞ্চলে জরুরি অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে বিমানটির ৬৭ আরোহীর ৩৮ জনই নিহত হন। ফ্লাইটের বেশিরভাগ যাত্রী আজারবাইজানের নাগরিক ছিলেন। তবে তাদের মধ্যে রাশিয়া, কাজাখস্তান এবং কিরগিজস্তানের যাত্রীও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, যারা বেঁচে ছিলেন তারা বিমানের পেছনের অংশে বসে ছিলেন। এদিকে শনিবার পুতিনের বার্তা প্রকাশের আগেই, আজারবাইজানের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস রাশিয়ার বেশিরভাগ শহরে ফ্লাইট স্থগিত করা শুরু করেছিল। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইনগুলো।