বন্দি ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে 'উত্তর কোরীয় সেনাদের' বিনিময়ে প্রস্তুত জেলেনস্কি

অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রম্নতি পূরণে মিত্রদের প্রতি আহ্বান

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভলোদিমির জেলেনস্কি
রাশিয়ায় বন্দি ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে বিনিময়ের ব্যবস্থা করতে পারলে কিয়েভ আটক উত্তর কোরীয় সেনাদের তাদের নেতা কিম জং উনের কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ জেলেনস্কি বলেন, 'নিঃসন্দেহে উত্তর কোরিয়ার বন্দি প্রথম সেনার পর আরও আসবে। আমাদের সেনারা অন্যদেরও বন্দি করবে। এটি শুধু সময়ের ব্যাপার। এর আগে শনিবার জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চল থেকে উত্তর কোরিয়ার দুই সেনাকে বন্দি করে নিয়ে এসেছে ইউক্রেন। রয়টার্স লিখেছে, প্রায় তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে গত শরতে যোগ দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। তারপর থেকে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো উত্তর কোরীয় সেনাদের জীবিত বন্দি করার ঘোষণা দিল। ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ার বাহিনীগুলোকে আরও শক্তি যোগাতে মিত্র উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১১ হাজার সেনা কুস্র্‌ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে রাশিয়া তাদের মাটিতে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের উপস্থিতি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেনি। কুর্সে্ক রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সেনারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বলে জেলেনস্কি দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, 'কিম জং উন যদি রাশিয়ার বন্দি হয়ে থাকা আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে তার সেনাদের বিনিময়ের ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে তাদের (উত্তর কোরীয় সেনাদের) তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ইউক্রেইন প্রস্তুত।' জেলেনস্কি একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেছেন, তাতে উত্তর কোরিয়ার সেনা বলে উপস্থাপিত দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তাদের একজন একটি বেডে শুয়ে ছিলেন আর তার হাতে ব্যান্ডেজ ছিল। অপরজন বসে ছিলেন আর তার চোয়ালে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ) জানিয়েছে, বন্দি ওই দুই সেনার একজন কর্মকর্তাদের বলেছেন, তিনি ভেবেছিলেন তিনি যুদ্ধ করার জন্য নয় বরং 'প্রশিক্ষণের' জন্য রাশিয়ায় যাচ্ছেন। বিবিসি জানিয়েছে, তার কাছে অন্য এক ব্যক্তির নামে ইসু্য করা রাশিয়ার সামরিক আইডি কার্ড পাওয়া গেছে, কিন্তু বন্দি অপর সেনার কাছে কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এসবিইউ জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারি বন্দি হওয়া দুই ব্যক্তি কিয়েভে রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তারা শুধু কোরিয়ান ভাষায় কথা বলে, তাই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।