দোহায় আট ঘণ্টার আলোচনা

গাজা যুদ্ধ বন্ধে আশার আলো

কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র এমনকি ইসরাইল ও হামাসের প্রতিনিধিরাও বলেছেন, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার স্থাপনা সমূহ -ইন্টারনেট
কাতারে দীর্ঘ আলোচনার পর মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলো বুধবার গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্তের সন্নিকটে পৌঁছে গেছে। এদিকে, চুক্তির বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের নেতারা। দোহায় আট ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আলোচনা চলেছে। কাতার, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র এমনকি ইসরাইল ও হামাসের প্রতিনিধিরাও বলেছেন, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে এখন বেশি। ফলে, এবার গাজা যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ওইদিনই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, উভয় পক্ষের কাছেই চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছে। এখন শেষবারের মতো খুঁটিনাটি নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। তবে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, তারা এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। কারণ, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ইসরইলি পরিকল্পনা জানা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় যোগদান করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে মঙ্গলবার বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সামনের দিনগুলোতে প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার বিষয়ে উভয় নেতাই একমত হয়েছেন। চুক্তি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের ওপর দুই নেতাই গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ইসরাইলি আগ্রাসনে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই যুদ্ধের প্রভাবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকের সঙ্গেও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে ইসরাইল ও তার মিত্ররা। এছাড়া, ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তো রয়েছেই। গাজা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হলে পুরো পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তি চূড়ান্ত হলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে আটক হওয়া জিম্মিদের মধ্যে জীবিত থাকা প্রায় শ খানেক ইসরাইলিকে ফিরে পাবে তেল আবিব। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে আটক থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে তারা। ওয়াশিংটনে ভাষণ দেওয়ার সময় যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি রূপরেখার ধারণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নঙ্কেন। তিনি দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের মঞ্চ পুরোপুরি প্রস্তুত।