আরএসএফ'র হামলায় সুদানের সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকা বিদু্যৎহীন
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সুদানের বেশিরভাগ সেনানিয়ন্ত্রিত এলাকায় ড্রোন হামলায় বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা। আধাসামরিক বাহিনীর্ যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বিদু্যৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানোর পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। দেশটির বৃহত্তম মেরোওয়ে বাঁধে সোমবার ড্রোন হামলার ফলে সুদানের উত্তরাঞ্চল বিদু্যৎহীন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি, একটি কারিগরি সমস্যার কারণে নীল নদ ও লোহিত সাগর নিকটবর্তী এলাকাতেও বিদু্যৎ বিভ্রাট ঘটে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের আল-শুক পাওয়ার স্টেশনে শনিবার গভীর রাতে হামলার পর বিদু্যৎ বিচ্ছিন্নতার এই সমস্যা গেডারেফ, কাসালা ও সেন্নার প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ে বলে কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এই অঞ্চলগুলো মূলত সেনানিয়ন্ত্রিত এলাকা। আরএসএফের সঙ্গে প্রায় দুই বছর ধরে এসব স্থানে তাদের সংঘাত চলছে। পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে যুদ্ধের কারণে বিদু্যৎ উৎপাদন অনেকাংশে বন্ধ। বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে লাখ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচু্যত মানুষ বসবাস করছে। মানবাধিকার সংস্থা ইমার্জেন্সি লইয়ার্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদু্যৎ কেন্দ্রে হামলার কারণে হাসপাতাল, স্কুল ও পানি সরবরাহ কেন্দ্রে বিদু্যৎ বিঘ্নিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তারা আরও বলেছে, এই হামলাগুলো কেবল বেসামরিকদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি সহিংসতা বাড়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। সুদানের যুদ্ধ ইতোমধ্যে এক কোটি লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচু্যত হয়েছেন। চলতি মাসে গেস্নাবাল হাঙ্গার মনিটরের এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, মে মাস পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি ৪৬ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। এই সংখ্যাটি দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। খার্তুমের বৃহত্তর এলাকাতে অবস্থিত ওমদুরমান শহরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিদু্যতের অভাবে বেকারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
আর পান করার জন্য মানুষ নীল নদ থেকে পানি সংগ্রহে বাধ্য হচ্ছে। মেরোওয়ে বিদু্যৎ কেন্দ্রে কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। তবে রয়টার্সের সূত্র জানিয়েছেন, এই কাজে এখনও তেমন অগ্রগতি হয়নি।