কেমন হবে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি?

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনা, ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং ন্যাটোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তার পররাষ্ট্রনীতিতে এই বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও মিশন পুনর্বিবেচনা করবে। ইউরোপকে ইউক্রেনের জন্য সরবরাহকৃত প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের ব্যয় ফেরত দেওয়ার দাবি জানাবেন তিনি। ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে আরও সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে এখনও প্রতিশ্রুতি দেননি। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয় কমিয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অবদান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যদের প্রতিরক্ষায় মোট জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা উচিত, যা বর্তমান ২ শতাংশ লক্ষ্য থেকে অনেক বেশি। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারে বলেছিলেন, তিনি শপথ নেওয়ার আগেই এই সংকট সমাধান করবেন। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এই প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি করেননি। তার উপদেষ্টারা স্বীকার করেছেন, শান্তিচুক্তি করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গ্রিনল্যান্ড কেনার পরিকল্পনা করছেন। যা তিনি তার প্রথম মেয়াদেও প্রস্তাব করেছিলেন। তবে ডেনমার্ক সেই সময় গ্রিনল্যান্ড বিক্রির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। সম্প্রতি ট্রাম্প পানামা খাল দখলের হুমকি দিয়েছেন এবং এটি পরিচালনার জন্য পানামার ওপর অতিরিক্ত মাশুল আরোপের অভিযোগ তুলেছেন। চীনের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ এবং তাদের মালিকানাধীন স্থাপনাগুলোর ওপর বিধিনিষেধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি চীনের 'মোস্ট ফেভারড নেশন' মর্যাদা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার অঙ্গীকার করেছেন। যা তিনি প্রথম মেয়াদেও করেছিলেন। তিনি একটি আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনাও করেছেন, যা তিনি 'আয়রন ডোম' নামে অভিহিত করেছেন।