চীনকে জানালেন ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তাইওয়ানের স্বাধীনতায় সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতায় সমর্থন করে না। শুক্রবার চীনা বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রুবিও বলেছেন, তাইওয়ান ইসু্যটি শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে এমনভাবে সমাধান হওয়া উচিত, যা তাইওয়ান প্রণালীর উভয় পক্ষের জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান তাদের দীর্ঘদিনের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং নতুন মার্কিন প্রশাসনের প্রতি চীনের উদ্বেগ কিছুটা হলেও কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তাইওয়ান চীনা ভূখন্ডের অংশ এবং চীন কখনোই দ্বীপটিকে মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেবে না। তিনি উলেস্নখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র তিনটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে 'এক চীন নীতি' মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তা থেকে সরে আসা উচিত নয়। ১৯৭২, ১৯৭৯ এবং ১৯৮২ সালের এই যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে যে, চীন একটাই এবং তাইওয়ান তার অংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো পক্ষ নেয় না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে তাইওয়ান প্রসঙ্গে কোনো উলেস্নখ না থাকলেও রুবিও জানিয়েছেন, নতুন প্রশাসন এমন চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, যা মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষা করবে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের চাপ সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কোনো দেশের জায়গা দখল করতে চায় না। তবে নিজেদের উন্নয়নের বৈধ অধিকার রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে গত ১৭ জানুয়ারির ফোনালাপ নিয়ে বেইজিং তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ২১তম শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, যা বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে তার আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যে 'লেভেল পেস্নয়িং ফিল্ড' তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া