যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর মধ্যে চুক্তি হয়নি

শুল্ক এড়াতে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন, মন্তব্য ট্রাম্পের

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯, ১১:০৩

যাযাদি ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে আসা শরণার্থীর স্রোত ঠেকাতে ব্যবস্থা না নিলে মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক বসানোর যে হুমকি দিয়েছিলেন, তা নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় 'প্রয়োজনের ধারে কাছেও' অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমঝোতা না হলে আগামী সোমবার থেকে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা গাড়ি, বিয়ার, টাকিলা, ফল ও শাকসব্জিসহ বিভিন্ন পণ্যে প্রতি মাসে পাঁচ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই হারে চলতে থাকলে পাঁচ মাস পর আমদানি করা ওই পণ্যগুলোতে শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৫ শতাংশে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স বিষয়টি নিয়ে চলতি সপ্তাহে আলোচনায় বসেন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বুধবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্দের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠক কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির নরম্যান্ডি জয়ের ৭৫ বছর পূর্তিতে ইউরোপ সফরে থাকা ট্রাম্প প্রথম দিনের অগ্রগতিতে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। যদিও মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এব্রার্দ জানান, প্রথম দিনের বৈঠকে তারা শরণার্থী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন, শুল্কের বিষয়টি আলোচনায়ই হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা মধ্য আমেরিকার শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে প্রতিবেশী দেশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না- ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই এ অভিযোগ করে আসছিলেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে তাকে নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়নেরও চেষ্টা চালাতে দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে তিনি শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ প্রবেশ আটকাতে মেক্সিকোর ওপর বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সময়সীমা ঠিক করে দেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপের হুমকির পর গুয়াতেমালা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ আটকাতে সেনা, সশস্ত্র পুলিশ এবং অভিবাসন কর্মকর্তাদের মোতায়েন করেছে মেক্সিকো সরকার। প্রত্যক্ষদর্শী দাতব্য সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তে মোতায়েন করা বাহিনী বুধবার শত শত অবৈধ অভিবাসীকে সীমান্ত অতিক্রম করতে বাধা দিয়েছে।