বহিঃসমর্পণ বিলের প্রতিবাদ হংকংয়ে

প্রকাশ | ১০ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হংকংয়ে বহিঃসমর্পণ বিলের প্রতিবাদ
তাইওয়ান, ম্যাকাও এবং চীনের মূল ভূখন্ডে বহিঃসমর্পণের সুযোগ রেখে আনা একটি আইনের সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ হংকংয়ের বিভিন্ন সড়কজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিতর্কিত ওই বিলে হংকংয়ের আদালত অন্য কোথাও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত বাসিন্দাদের বহিঃসমর্পণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রাখবে। আইনে পরিণত হলে একে কাজে লাগিয়ে চীন হংকংয়ের রাজনৈতিক বিরোধীদের বিপদে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা সমালোচকদের। রোববার প্রচন্ড গরমের মধ্যে সাদা পোশাক পরিহিত বিক্ষোভকারীরা হংকংয়ের প্রধান প্রধান সড়ক দখলে নিয়ে প্রতিবাদ দেখায়। ব্যবসায়ী, আইনজীবী, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গণতন্ত্রপন্থি হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে এদিনের বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে। ২০১৪ সালের 'আমব্রেলা মুভমেন্টের' পর এবারের বিক্ষোভই সবচেয়ে বড় হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিলটির সমর্থকরা বলছেন, বহিঃসমর্পণের বিধান পাস হলে এতে কেবল হত্যা ও ধর্ষণের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তরাই আটকা পড়বেন; রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় কারণে অভিযুক্তরা নন। ছুটিতে তাইওয়ান গিয়ে গর্ভবতী বান্ধবীকে খুন করে বাড়ি ফিরে আসা এক বাসিন্দাকে তাইপের কাছে হস্তান্তরের লক্ষ্যে হংকংয়ের চীনপন্থি শাসকরা এই সংশোধনী বিলের প্রস্তাব করেন। হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম জুলাইয়ের মধ্যেই বিলটি পাস করতে চাইছেন। হংকং ১৯৯৭ সাল থেকে চীনের অধীনে আসে। সাবেক এই ব্রিটিশ কলোনির জন্যই চীনকে 'এক দেশ দুই ব্যবস্থা' চালাতে হচ্ছে। আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের শাসন পদ্ধতি চীনের মূল ভূখন্ডের শাসন পদ্ধতির চেয়ে আলাদা। গত দুই দশক ধরে চীন ধারাবাহিকভাবে এ ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর। এ নিয়ে বেশ কয়েক দফা আন্দোলনও করেছে তারা। বিক্ষোভে অংশ নেয়া হংকংয়ের ৫৯ বছর বয়সী অধ্যাপক রকি চ্যাঙ বলেন, 'এটা হংকংয়ের জন্য জীবন-মরণ প্রশ্ন। এটা একটি শয়তানি আইন।' সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স