দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার এক মাস পর ড্ে্নাল্ড ট্রাম্প প্রথম যে মন্ত্রিসভা বৈঠক করলেন, তাতে তার প্রিয়পাত্র ইলন মাস্ক কেবল উপস্থিতই ছিলেন না, হয়ে উঠেছিলেন মধ্যমণিও। বুধবারের এই বৈঠকে টেসলাপ্রধান গিয়েছিলেন 'টেক সাপোর্ট' লেখা এক কালো টি-শার্ট পরে, গেয়েছেন ফেডারেল কর্মীবহর ছোট করে আনতে তার প্রচেষ্টার গুণগান। ট্রাম্প প্রশাসনে বিশ্বের এ শীর্ষ ধনীর প্রভাব কতটা, হোয়াইট হাউজে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি যেন ছিল তারই নজিরবিহীন প্রদর্শনী, বলছে ইউএসএ টুডে। "প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি অনেক, সমালোচনারও মুখোমুখি হচ্ছি। চাইলে আমি এগুলো একসঙ্গে জড়ো করতে পারি। কিন্তু যা করছি, তা না করলে আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে। তাই আমাদের এটা করতেই হবে," ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) কর্মকান্ড নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বলেন মাস্ক।
মার্কিন মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানি স্পেসএক্স ও বৈদু্যতিক গাড়িনির্মাতা টেসলার প্রধান নির্বাহী মাস্ক এখন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর। প্রেসিডেন্টের আদেশে তিনিই সরকারি ব্যয় ও অপচয় কমানোর উদ্দেশ্যে বানানো ডিওজিই'র কার্যক্রম দেখভাল করছেন। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর থেকে এ পর্যন্ত মাস্কের এই ডিওজিই ফেডারেল সরকারের অনেক দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক দপ্তরের বাজেট কমিয়েছে, ছাঁটাই করেছে হাজার হাজার কর্মীকে। মাস্ক সম্প্রতি ফেডারেল কর্মীদেরকে লেখা এক ইমেইলে তাদের সাম্প্রতিক অর্জনের তালিকা লিখে পাঠাতে বলেছেন; নির্দেশ না মানলে চাকরিচু্যতিরও হুমকি দিয়েছেন তিনি। তার এই চিঠি প্রশাসনজুড়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও উদ্বেগেরও জন্ম দেয়; পরে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, মাস্কের চিঠির উত্তর দেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই মাস্ক ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা বৈঠকে হাজির হন। বৈঠকটি পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তৃত প্রশ্ন-উত্তর পর্বেও পরিণত হয়। সেখানে টেসলাপ্রধানকে দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা যে টেবিলে ছিলেন, তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে।