মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের বিষয়ে তার রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়া নিয়ে সমালোচনার জবাব দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে 'কম' উদ্বিগ্ন হওয়া।
নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রম্নথ সোশ্যালে করা এক পোস্টে তিনি বলেন, "পুতিনকে নিয়ে উদ্বিগ্নতায় কম সময় ব্যয় করে আমাদের উচিত অভিবাসী ধর্ষক অপরাধী গোষ্ঠী, মাদক সম্রাট, খুনী এবং মানসিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে থাকা লোকজনের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া- যেন আমরা ইউরোপের মতো শেষ হয়ে না যাই!"
জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে তোড়জোড় শুরু করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবাক করা পরিবর্তনের পূর্ণ প্রদর্শনী ঘটে শুক্রবার। এদিন হোয়াইট হাউজের ওভাল দপ্তরে বিশ্ব গণমাধ্যমের সামনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন ট্রাম্প।
নজিরবিহীন এই প্রকাশ্য তর্কাতর্কির সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তীব্র ভাষায় জেলেনস্কির সমালোচনা করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রক 'অশ্রদ্ধা' দেখিয়েছেন। এই বিবাদের ফলে ইউক্রেইনের খনিজ সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে একটি প্রত্যাশিত চুক্তির স্বাক্ষর না করেই জেলেনস্কি হোয়াইট হাউজ ছাড়তে বাধ্য হন। হোয়াইট হাউজে তার দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তাকে না খাইয়েই বিদায় দেন ট্রাম্প।
এদিকে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তিতে পড়া ইউরোপ সতর্ক হয়ে উঠেছে। রোববার ইউরোপের প্রধান রাষ্ট্রনেতারা কানাডার জাস্টিন ট্রম্নডো ও জেলনস্কিকে নিয়ে বৈঠক করে 'কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং' জোট গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই জোটকে সামনে রেখে যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে ইউক্রেইনের সঙ্গে মিলে কাজ করতে এবং রাশিয়ার আক্রমণ থেকে দেশটিকে রক্ষা করতে চার পয়েন্টের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। কৃতজ্ঞ জেলেনস্কি বলেছেন, "সম্মেলনে ইউরোপের অতি উচ্চ স্তরের এক ঐক্য দেখা গেছে যা দীর্ঘ দিন দেখা যায়নি।