বাণিজ্যযুদ্ধে এবার ভারতও ২৮ মার্কিন পণ্যে শুল্ক

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯, ১১:০৯

যাযাদি ডেস্ক
শুল্কযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। এরই অংশ হিসেবে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ২৮টি মার্কিন পণ্যের ওপর চড়া আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। আগামী ২৮ জুন ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠককে সামনে রেখে ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিল। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে রোববার থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আমদানি করা আপেল, আখরোটের মতো ২৮টি পণ্যের। ভারতের ওপর থেকে বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা সরিয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিলিস্ন। ওই পণ্যগুলো ভারতে পাঠাতে আগের থেকে বেশি শুল্ক দিতে হবে মার্কিন ব্যবসায়ীদের। ভারতের ওপর থেকে বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা সরিয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে সক্রিয় হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার। যেসব দেশের সঙ্গে তাদের অতিরিক্ত মাত্রায় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ট্রাম্প। গত ৫ জুন ভারতের ওপর থেকে 'জেনারেইলাজড ট্রেডিং প্রেফারেন্সেস'র (জিএসপি) সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। স্বাভাবিকভাবেই সেই সিদ্ধান্তে অখুশি হয় দিলিস্ন। কারণ, ওই সুবিধার আওতায় ৫৬০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য কোনো শুল্ক ছাড়াই রপ্তানি করতে পারত ভারত। সেই সুবিধা হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষুব্ধ মোদি সরকার। পাশাপাশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর থেকে চড়া শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারতের দাবি খারিজ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিলিস্নর শুল্কযুদ্ধ নয়া মাত্রা পায়। এই পরিস্থিতিতে গত বছর জুনে বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক প্রায় ১২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছিল ভারত। যদিও দুই দেশের মধ্যে শুল্ক নিয়ে আলোচনা চলায় সে নির্দেশ বারবারই পিছিয়ে দিয়েছে দিলিস্ন। তবে জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করার পর ভারতও আর চুপ করে বসে থাকেনি। এরপর ২৮টি মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা-বিষয়ক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উলেস্নখ্য, চলতি মাসেই ভারত সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সে সময় ভারতের নেতাদের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে পারেন তিনি।