মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত আরও এক হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি বাহিনী 'শত্রম্নতামূলক আচরণ' করছে অভিযোগ করে এর প্রতিক্রিয়ায় এসব সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সোমবার রাতে এক ঘোষণায় জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে পেন্টাগন নতুন ছবি প্রকাশ করে সেগুলো ওমান উপসাগরে ট্যাংকার হামলার সঙ্গে ইরানের জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি শানাহান এক বিবৃতিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না। কিন্তু ওই অঞ্চলে আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য কর্মরত সামরিক সদস্যদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইরানি বাহিনীর শত্রম্নতামূলক আচরণের বিষয়ে এবং তাদের অনুগত গোষ্ঠীগুলো যারা ওই অঞ্চলজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্বার্থকে হুমকি দিচ্ছে, তাদের বিষয়ে আমরা যেসব নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি ইরানের সাম্প্রতিক হামলাগুলো তা প্রমাণ করেছে।' মার্কিন সামরিক বাহিনী ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেনা সংখ্যা সমন্বয় করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত এই সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত আরও এক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা এলো। রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না, তবু 'যতগুলো বিকল্প আছে, তার সবই বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডে মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামরিক কমান্ডারের সঙ্গে পম্পেওর বৈঠক করার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হরমুজ প্রণালির দক্ষিণে ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর হামলা হয়। এসব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এর সঙ্গে তারা কোনোভাবে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে ইরান। এদিকে, সোমবার ইরান ঘোষণা করেছে, তারা ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি আর মেনে চলবে না, ২৭ জুনের মধ্যে তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ওই চুক্তিতে বেঁধে দেয়া সীমা পেরিয়ে যাবে।