কংগ্রেসের সভাপতি থাকতে চান না, আবারও জানালেন রাহুল

রাফায়েল নিয়ে আগের অবস্থানে অনড় রয়েছেন তিনি

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রাহুল গান্ধী -ফাইল ছবি
না, তিনি আর দলের সভাপতি থাকতে চান না। বৃহস্পতিবার আবারও তা জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তার আগের সিদ্ধান্ত একটুও বদলায়নি, বুঝিয়ে দিয়ে রাহুল এটাও জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ পদে তিনি আর থাকতে রাজি নন বলেই পরবর্তী সভাপতি বেছে নেয়ার প্রক্রিয়াতেও নিজেকে জড়াতে চান না। এবং জড়াবেনও না। তাতে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই রাহুল ঘোষণা করেন, তিনি আর দলের সভাপতি পদে থাকতে চান না। তারপর দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা হয় তাকে বোঝানোর, যাতে তিনি সিদ্ধান্ত বদলান। কিন্তু বৃহস্পতিবার 'এনডিটিভি'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, তিনি অবস্থান বদলাননি। তার আগের সিদ্ধান্ত তিনি পুনর্বিবেচনাও করেননি। করতেও চান না। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি অবশ্য এখনো রাহুলের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে কো?েনা ঘোষণাও হয়নি। কেন পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় থাকতে চান না, জানতে চাওয়া হলে রাহুল বলেন, 'এই প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। সেটাই বাঞ্ছনীয়। আমি ওই প্রক্রিয়ায় (সভাপতি নির্বাচন) জড়িয়ে পড়তে চাই না। তাতে বিষয়টা জটিল হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেয়ার, তা দলই নেবে। তা কারও ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে না।' সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সাকুল্যে মাত্র ৫২টি আসন পেয়েছে। এর ১০০ শতাংশ দায় মাথায় নিয়ে গত ২৬ মে দলীয় সভাপতি পদ ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন রাহুল, ওয়ার্কিং কমিটিকে তার কঠোর মনোভাবও জানিয়ে দেন। কংগ্রেসের লোকসভা নির্বাচনে চরম ভরাডুবির জেরে কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর দলের হাল কে ধরবেন, তা নিয়ে জল্পনা বহাল রয়েছে। রাহুল ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে সরে গেলেও দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণকারী মঞ্চ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডাবিস্নউসি) তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে তাকে সর্বস্তরে দলকে চাঙ্গা করতে বলেছে। কিন্তু রাহুল তার সিদ্ধান্তে অনড়। কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্র কায়েম রয়েছে, সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পদ একটি পরিবারের কুক্ষীগত, কিন্তু ভরাডুবির দায় তাদের নিতে হয় না, ওই দল সম্পর্কে সমালোচক-নিন্দুকদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ এটাই। যদিও দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকে বলছেন, একমাত্র গান্ধী পরিবারের সদস্যরাই দলকে এক করে ধরে রাখতে পারেন। যদিও রাহুল তা মানতে চান না। তার মা সোনিয়া বা বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকেও সেই দায়িত্ব দেয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। রাফায়েল চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে, এদিন এই অভিযোগেও অটল থাকেন রাহুল। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বৃহস্পতিবারের ভাষণে রাফায়েলের উলেস্নখের প্রতিক্রিয়ায় রাহুলের দাবি, 'রাফায়েল নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছি। রাহুল এ নিয়ে আগেই তদন্তও দাবি করেছেন।' কংগ্রেসও যুদ্ধবিমান চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিভিসিকে চিঠি দিয়েছে। যদিও চুক্তিতে কোনো চুরি, দুর্নীতি, নিয়মভঙ্গ, পক্ষপাতিত্ব হয়নি বলে দাবি মোদি সরকারের।